শান্তির খোঁজে বুথ-বাহিনী

নবান্ন সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার ঘটনায় বাদুড়িয়া থেকে যে ভাবে একে একে জেলার বিভিন্ন ব্লকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ‘শান্তিবাহিনী’ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০৪:১৬
Share:

সক্রিয়: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের টহলদারি। বুধবার বসিরহাটের টাকি রোডে। নিজস্ব চিত্র।

গুজব, অপপ্রচার আর চক্রান্ত ঠেকাতে পাড়ায় পাড়ায় শান্তি বাহিনী তৈরি করছে রাজ্য সরকার। ১৫ দিনের মধ্যেই রাজ্য জুড়ে প্রতিটি বুথে ওই শান্তিবাহিনী কাজ শুরু করবে বলে বুধবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাড়ার লোকেরাই পাড়ার শান্তি রক্ষা করতে পারেন। চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এই শান্তিবাহিনী কাজ করবে।’’

নবান্ন সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার ঘটনায় বাদুড়িয়া থেকে যে ভাবে একে একে জেলার বিভিন্ন ব্লকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ‘শান্তিবাহিনী’ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কথায়, এলাকার মানুষই প্রশাসনের সবচেয়ে বড় বন্ধু। তাঁরাই এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল যুদ্ধং দেহি

এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুলিশ প্রতি বুথে ২০ জন করে ছাত্র-যুব এবং শান্তিপ্রিয় মানুষকে নিয়ে শান্তি বাহিনী তৈরি করবে। রাখা হবে মন্দির কমিটি, মসজিদ কমিটি এবং পাড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও। তাঁরা এলাকার ‘ঐক্যের স্বার্থে, শান্তির স্বার্থে এবং প্রগতির স্বার্থে’ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ এলাকায় গিয়ে উস্কানি দিচ্ছে কি না, চক্রান্ত করছে কি না, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হানাহানি করছে কি না, পাড়া-প্রীতি ভেঙে দিচ্ছে কি না— তা নজর রাখতে পারবে।’’

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা দাবি করেন, বিজেপি-ই মূলত বিভিন্ন এলাকায় ওই ধরনের চক্রান্ত তৈরি করছে। আগুন নিয়ে খেলা করছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি কখনও কেন্দ্রে, কখনও রাজ্যে ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু একটা রাজনৈতিক দলের অধিকার নেই এলাকায় দাঙ্গা লাগানোর। এটা তারা করছে।’’ ফেসবুকের বিভিন্ন আপত্তিকর পোস্ট নিয়ে এ দিনও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘আমি ফেসবুক করতে ভালবাসি। কিন্তু যে ভাবে কিছু মানুষ মিথ্যে ছবি, মিথ্যে ঘটনা লিখে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সচেতনতার মাধ্যমেই রুখতে হবে।’’ সে কারণেই প্রশাসন মনে করছে, শান্তি বাহিনীর সহযোগিতায় একটি পাড়ায় শান্তি রক্ষা হলে, পাশের পাড়ায় অশান্তি ছড়াতে পারবে না।

বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও বুধবার বিকেলের পর থেকে শান্তি ফেরানোর জন্য বসিরহাট মহকুমার নানা প্রান্তে আলোচনায় বসতে শুরু করেছে বিবদমান পক্ষগুলি। প্রশাসনের উদ্যোগেও স্বরূপনগরে শান্তি বৈঠক হয়েছে বুধবার। হাড়োয়াতে শান্তি মিছিল করেছেন স্থানীয় মানুষজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন