ঈশিতা মল্লিক খুন: প্রেমিক দেশরাজ সিংহের বাবাও গ্রেফতার রাজস্থান থেকে। —ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা মল্লিক খুনে প্রেমিক দেশরাজ সিংহের বাবাও এ বার গ্রেফতার। ধৃতের নাম রাঘবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ। তিনি বিএসএফ কর্মী। শনিবার রাতে রাজস্থানের জৈসলমেরে বিএসএফের ২০ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেশরাজ ঈশিতাকে খুন করার পর তাঁকে আত্মগোপনে সাহায্য করেছিলেন রাঘবেন্দ্র। রবিবার ধৃতকে রাজস্থানের আদালতে হাজির করিয়ে ট্রানজ়িট রিমান্ডে কৃষ্ণনগরে নিয়ে আসা হবে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয়মিত কুমার মাকওয়ানা বলেন, ‘‘শনিবার রাতে পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করেছে। ওঁকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে কৃষ্ণনগর আনা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঈশিতাকে খুনের ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৬ অগস্ট বিকেলে অযোধ্যায় রামমন্দির থেকে শ’দুয়েক মিটার দূরে একটি হোটেলে যান দেশরাজ। হোটেলের ম্যানেজারকে তিনি জানিয়েছিলেন, আধার কার্ড ও যাবতীয় নথিপত্র-সহ তাঁর ব্যাগ চুরি হয়ে গিয়েছে। হোটেলের ম্যানেজারের ফোন থেকে বাবাকে ফোন করে তিনি টাকা এবং তাঁর পরিচয়পত্রের ছবি চান। ম্যানেজারের অ্যাকাউন্টে ২২ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। হোটেলের ঘর ভাড়া নেন বাবা রাঘবেন্দ্রর নামেই। বাবার দেওয়া টাকাতেই মোবাইল কিনেছিলেন দেশরাজ।
তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানা গিয়েছে, পুলিশ দেশরাজের খোঁজে তল্লাশি চালাতে উত্তরপ্রদেশের দেউড়ি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময়ে ছেলেকে যাতে পুলিশ ধরতে না পারে, সে জন্য তাঁকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করেছিলেন বাবা।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় আগেই দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংহকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরেই নেপাল সীমান্ত থেকে দেশরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরেই বিএসএফ ক্যাম্পে রাঘবেন্দ্রকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকেও।