ভোটের আগে জেলায় নজর এখন কংগ্রেসের

তিন রাজ্যে সাফল্যের পরে কলকাতায় সমাবেশে উপচে পড়েছিল ভিড়। সেই ‘সাফল্যে’ উৎসাহিত কংগ্রেস এ বার কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে জেলা ও নিচু তলায় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২৪
Share:

সম্মান: সোমেন মিত্রকে প্রণাম অধীর চৌধুরীর। বুধবার শহরে কংগ্রেসের সমাবেশে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

তিন রাজ্যে সাফল্যের পরে কলকাতায় সমাবেশে উপচে পড়েছিল ভিড়। সেই ‘সাফল্যে’ উৎসাহিত কংগ্রেস এ বার কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে জেলা ও নিচু তলায় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিচ্ছে। এক দিকে যেমন সংগঠনকে চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় আইন অমান্যের পথে যাওয়া হচ্ছে, তেমনই কর্মিসভা করে লোকসভা ভোটের আগে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও কংগ্রেস কর্মীরা যে ভাবে নানা জেলা থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশে এসেছিলেন, তার জন্য তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘লাক্সারি বাস, বিরিয়ানির প্যাকেট বা রাতে কম্বল মুড়ে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করতে পারিনি। তবু কর্মী-সমর্থকেরা এসে দেখিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস সাইনবোর্ড হয়ে যায়নি!’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস গঙ্গার মতো। ভাটা দেখে কেউ যদি ভাবেন গঙ্গা শুকিয়ে গিয়েছে, তা হলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন!’’ জেলায় জেলায় কর্মসূচির জন্য দলকে তৈরি হতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।

বাংলায় এআইসিসি-র ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ জানিয়েছেন, আপাতত তিনি জেলায় জেলায় ঘুরে কর্মিসভা করবেন। বেশ কিছু জেলায় তাঁর ঘোরা হয়ে গিয়েছে। যে সব লোকসভা আসন এখন কংগ্রেসের হাতে আছে, সেখানেই আপাতত বেশি কর্মিসভা করতে চান তিনি। গৌরবের কথায়, ‘‘কংগ্রেস কর্মীরা কী ভাবে লড়াই করে দলটা করছেন, তাঁদের সঙ্গে থেকেই সেটা বুঝতে চাই।’’ ঠিক হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ৭ জানুয়ারি, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৮ তারিখ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ১৬ তারিখ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ১৭ তারিখ, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ২২ এবং মালদহে ২৪ তারিখ আইন অমান্য হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement