এক ঝাঁক তারকা নিয়ে অন্ডালে বিমান

অবশেষে অন্ডালে চালু হয়ে গেল বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা। বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি এই বিমানবন্দরে সোমবার সকালে ও বিকেলে নামল দু’টি বিমান। এ দিন সকালে কলকাতা থেকে অন্ডালে এসে পৌঁছয় পিনাকল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এখান থেকে সেটি উড়ে যায় বাগডোগরার দিকে। বিকেলে আসে এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা অ্যালায়েন্সের একটি বিমানে। কলকাতা থেকে সেটিতে চড়ে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা দেব, মুনমুন সেন, শ্রাবন্তী, শুভশ্রী, মিমি, সোহম-সহ এক ঝাঁক অভিনেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০৩:৫০
Share:

অন্ডাল বিমানবন্দরে দেব। —নিজস্ব চিত্র।

অবশেষে অন্ডালে চালু হয়ে গেল বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা। বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি এই বিমানবন্দরে সোমবার সকালে ও বিকেলে নামল দু’টি বিমান।
এ দিন সকালে কলকাতা থেকে অন্ডালে এসে পৌঁছয় পিনাকল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এখান থেকে সেটি উড়ে যায় বাগডোগরার দিকে। বিকেলে আসে এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা অ্যালায়েন্সের একটি বিমানে। কলকাতা থেকে সেটিতে চড়ে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা দেব, মুনমুন সেন, শ্রাবন্তী, শুভশ্রী, মিমি, সোহম-সহ এক ঝাঁক অভিনেতা। ওই বিমানেই ফিরে যান তাঁরা। সেই উড়ানের যাত্রী হন দুর্গাপুরের দ্য মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু। তিনি বলেন, ‘‘দুর্গাপুর উড়ান মানচিত্রে জুড়ে গেল। এটি ঐতিহাসিক দিন।’’

Advertisement

বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা চালু হলেও বাণিজ্য কতটা হবে, সে নিয়ে যে সংশয় থাকছে তা এ দিন বোঝা গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার কলকাতার জেনারেল ম্যানেজার (কমার্সিয়াল অপারেশন) রেনচিং সেরিনের কথা থেকেই। তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্যিক দিক নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। সরকারি সংস্থা হিসেবে সামাজিক দায় রয়েছে আমাদের। নিয়মিত বিমান চলবে।’’ এই বিমানবন্দরের প্রশংসা করেন তিনি।

এ দিন এয়ার ইন্ডিয়ার কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে এক যুবককে কলকাতাগামী উড়ানে চড়তে দেখা যায়। তবে যাত্রী হতে ইচ্ছুক দুর্গাপুরের বেশ কয়েক জন বাসিন্দার অভিযোগ, বারবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে দুর্গাপুরের ‘কোড’ এখনও মিলছে না। ফলে, ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুক করা যায়নি। টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেও সদুত্তর মেলেনি বলে তাঁদের দাবি। বিমানবন্দর ছাড়া শহরে কোথাও টিকিট কাউন্টারও চালু করা হয়নি। তবে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলে আশ্বাস দেওয়া হয়, বিমানবন্দরের কাউন্টারে টিকিটের অভাব নেই।

Advertisement

কলকাতা থেকে আসা বিমান। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।

সরকারি অতিথিরা আসবেন বলে এ দিন নিরাপত্তার বেশ কড়াকড়ি ছিল বিমানবন্দরে। এখান থেকে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। যোগাযোগের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বিনোদ ভাট বলেন, ‘‘হেলিকপ্টারের যাত্রীদের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা আছে। দরকার হলে সেটি ব্যবহারের কথা ভাবা হবে।’’ বিমানবন্দর থেকে জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তা এখনও অসম্পূর্ণ। সেখানে আলোও নেই।

এ দিন প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বাইরে ভিড় জমেছিল ভালই। বাসিন্দারা জানান, তাঁরা অভিনেতাদের দেখতে এসেছেন। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বণিক সংগঠনের আমন্ত্রিত কর্তারা জানান, এখানকার মানুষজনকে এত দিন দমদম বা রাঁচি গিয়ে বিমান ধরতে হত। এত দিনে সেই সমস্যা মিটল। এই উড়ান পরিষেবা জনপ্রিয় হবে বলে তাঁদের আশা। দুর্গাপুর স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃপাল সিংহ জানান, রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে এ দিন তাঁরা কলকাতা গিয়েছিলেন। দমদম বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

শ্রাবন্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনমুন সেন, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত প্রমুখ। সন্ধ্যায় সেই বিমানেই

কলকাতা ফেরেন তাঁরা। কলকাতা-কোচবিহার বিমান পরিষেবাও এ দিন ফের চালু হল। — নিজস্ব চিত্র।

মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিমান পরিষেবা চালুর পুরো কৃতিত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা সিটু নেতা বংশগোপাল চৌধুরীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘জমি অধিগ্রহণ পর্ব সারা হয়েছিল বাম আমলে। কৃষকেরা যাতে সর্বোচ্চ দাম পান তা দেখা হয়েছিল। বরং তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন