West Bengal Panchayat Election 2023

ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল সারাই অবিলম্বে: কোর্ট

ভোট চলাকালীন রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষোভ তৈরি হতেই, সেই আক্রোশ গিয়ে পড়েছে স্কুলের নিরীহ আসবাবের উপরে। আছাড় মেরে ভাঙা হয়েছে টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ০৫:২২
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিল পড়ে রয়েছে স্কুলে। তার ছবি ছড়িয়েছে সমাজ মাধ্যমে। গত শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু সরকারি স্কুলকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ, ভোট চলাকালীন রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষোভ তৈরি হতেই, সেই আক্রোশ গিয়ে পড়েছে স্কুলের নিরীহ আসবাবের উপরে। আছাড় মেরে ভাঙা হয়েছে টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চ। রবি ও সোমবার স্কুলে ফিরে সেই ছবি দেখে শিক্ষকদের প্রশ্ন ছিল, স্কুল খুলতে হবে। কে সারাবে এই আসবাব?

Advertisement

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে মেরামত করতে হবে এবং পুনরায় চালু করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, মেরামতির খরচ দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। শীঘ্র রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করবে। ভাঙচুরে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পরে সেই অর্থ তাঁদের কাছ থেকে রাজ্য সরকার আদায় করতে পারবে বলেও আদালত এ দিন জানিয়েছে।

ভোটের অশান্তি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ফারহাদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী শমীক বাগচী, রামেশ্বর সিনহা, সালমা সুলতানা শাহ অন্যান্য ঘটনার পাশাপাশি হাঙ্গামায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁদের বক্তব্য, এগুলি দ্রুত মেরামত না করা হলে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি হবে। সেই যুক্তি কার্যত মেনে নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পরে শমীক বলেন, ‘‘স্কুলবাড়ির ক্ষতির বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকেই জানতে পেরেছিলাম। মামলার মূল হলফনামা আগেই জমা পড়েছিল। তাই এ দিন সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভোটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো নষ্ট নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের অনেকে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এই ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বেশিরভাগ স্কুলের নিজস্ব তহবিলে নেই।

Advertisement

এ দিন আদালতের নির্দেশের পরে সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘হাই কোর্টের নির্দেশে আমরা খুশি। তবে এই নির্দেশকে দ্রুত কার্যকর করতে হবে।“ তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন অথবা রাজ্য সরকার তিন দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন