কলকাতা হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রাজ্যের কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার হিসেব দিতে পারল না সরকার। হিসেব দাখিলের জন্য বাড়তি সময় চেয়েছে রাজ্য সরকার। তা মঞ্জুরও হয়েছে।
সরকারি কর্মীদের কত মহার্ঘ ভাতা বাকি পড়েছে, রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) জয়তোষ মজুমদার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান, হলফনামা পেশ করতে রাজ্যকে আরও কিছু দিন সময় দেওয়া হোক। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জিপি-কে নির্দেশ দিয়েছে, ২৮ অগস্টের মধ্যে ওই হলফনামা পেশ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ৫ সেপ্টেম্বর।
পঞ্চম বেতন কমিশনের (২০০৬) সুপারিশ মেনে এ রাজ্যে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া শুরু হয় ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল। সরকারি কর্মীদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ’ এবং ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর অভিযোগ, যে-হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা, রাজ্য সেই হারে তা দিচ্ছে না। নির্দিষ্ট হারে ওই ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে ওই দুই সংগঠন। ১৩ জুলাই সেই মামলার প্রথম শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেয়।
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাকি ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজ্য সরকার বাকি মহার্ঘ ভাতার ১০ শতাংশ মেটানোর কথা বলে। কিন্তু ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে-চল্লিশ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাকি থাকল, সেটা কবে বা কী ভাবে মেটানো হবে, তা জানানো হয়নি। ছয় কিস্তিতে ওই টাকা মেটানোর কথা রাজ্যের।