Calcutta High Court

নির্দেশের সময় তা কার্যকরের দিকটিও মাথায় রাখতে হয়! শুভেন্দুর সভা মামলার নিষ্পত্তি করে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

কাঁথিতে সনাতনী সম্মেলন মিটে যাওয়ার পর ওই মামলার রায় প্রকাশ্যে এসেছে। একক বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ না-করলেও ওই রায়ের প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৫ ০০:০৪
Share:

কাঁথিতে সনাতনী সম্মেলন মামলার নিষ্পত্তি হল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কাঁথিতে সনাতনী হিন্দু সম্মেলন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। তবে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মত, নির্দেশ দেওয়ার সময় সেটি যাতে কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। বস্তুত, হাই কোর্টের ডিভিশন বে়ঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি যখন প্রকাশ্যে আসে, তত ক্ষণে ওই সনাতনী হিন্দু সম্মেলন হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন হাজার লোক নিয়ে এই সভা করা যেতে পারে। বেঁধে দেওয়া সংখ্যার বেশি জমায়েত করা যাবে না। কিন্তু এই নির্দেশ প্রশাসনের পক্ষে সঠিক ভাবে পালন করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও নির্দেশ দেওয়ার সময় মাথায় রাখতে তা যেন কার্যকর করা যায়। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, এ বিষয়ে তারা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে একমত। দুই বিচারপতির বেঞ্চে জানিয়েছে, ওই কর্মসূচিতে এক সঙ্গে কেবল তিন হাজার লোক যোগ দিয়েছেন, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। প্রশাসনের পক্ষে এমন নির্দেশ সঠিক ভাবে পালন করা সম্ভব নয়। কত লোক রয়েছে, তার উপর ভিড় নির্ভর করে।

যদিও একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই মামলার শুনানির সময় ওই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার মুখে। ফলে সেখানে কত লোকের জমায়েত হয়েছিল, তাতে আর আদালত নাক গলাচ্ছে না। তাই রাজ্যের আবেদন এখানেই নিষ্পত্তি করে দিয়েছে আদালত।

Advertisement

বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন ছিল। এই দিনেই কাঁথিতে সনাতনী সম্মেলন হয়েছে। উদ্যোক্তা ছিল হিন্দুত্ববাদী এক সংগঠন। সরাসরি উদ্যোক্তা না-হলেও কাঁথির এই কর্মসূচির অন্যতম মুখ ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেখানে বক্তৃতাও করেন তিনি। কাঁথির এই সম্মেলনে প্রথমে পুলিশি অনুমতি না-মেলায় হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। বিচারপতি ঘোষ শর্তসাপেক্ষে সনাতনী সম্মেলনের অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বুধবার মামলার শুনানি হয়। ঘটনাচক্রে, যখন বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়, তত ক্ষণে কাঁথিতে ওই সম্মেলন শুরুও হয়ে গিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement