Kalighater Kaku

স্ত্রীর শ্রাদ্ধ, ‘কালীঘাটের কাকু’কে ১৬ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি, কী কী শর্ত দিল হাই কোর্ট

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি ছিল সুজয়ের জামিন মামলার। নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার সুজয়ের জামিনের আবেদন আগের দিনই খারিজ করেছিল হাই কোর্ট। তবে প্যারোলের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাকি ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৬:৪১
Share:

‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ফাইল চিত্র।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর জামিনের আবেদন করেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সেই আর্জি খারিজ করলেও তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার সুজয়কে তাঁর স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য সেই প্যারোলের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিল আদালত। এর মধ্যে একটি শর্তে ‘কালীঘাটের কাকু’র উপর কড়া নজরদারির কথাও।

Advertisement

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি ছিল সুজয়ের জামিন মামলার। নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার সুজয়ের জামিনের আবেদন আগের দিনই খারিজ করেছিল হাই কোর্ট। তবে প্যারোলের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাকি ছিল। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দেন, পরিস্থিতির বিচার করে সুজয়ের প্যারোলের মেয়াদ ১৬ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল। তবে জেলের বাইরে থাকলেও তাঁকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।

কী কী শর্ত? মূলত তিনটি শর্তে ‘কালীঘাটের কাকু’ প্যারোলের মেয়াদ প্রায় ১৭ দিন বৃদ্ধি করেছে আদালত। এক, ১৬ জুলাই পর্যন্ত সুজয়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকবেন ইডির একজন অফিসার। দুই, পারলৌকিক ক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও মন্দিরে বা অন্যত্র যেতে হলেও তাঁকে ১০ কিলোমিটার পরিধির মধ্যেই থাকতে হবে। তিন, ১০ কিলোমিটার পরিধির মধ্যে কোথাও যেতে হলে, সে কথা ৪৮ ঘণ্টা আগে জানিয়ে রাখতে হবে ইডিকে। এ ছাড়া সুজয়কে আবার ১৭ জুলাই প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছে, সুজয় ওই ক’দিন তাঁর জন্য নির্দিষ্ট করা পরিধির মধ্যে কোথাও গেলে, তাঁর সঙ্গে তাঁর পরিবারের কয়েক জন সদস্যও থাকতে পারবেন। এই সকল শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার রাতেই সুজয়ের বাড়িতে এক জন ইডি আধিকারিক এবং সিআইএসএফ পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কে এক জন ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র’ হিসাবে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রেই এমনটা জানা গিয়েছে। একদা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি দফতরের কর্মী সুজয় ইদানীং প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করতেন। অভিষেককে এখনও ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করেন সুজয়। নিয়োগ মামলায় তাঁর নাম প্রথম প্রকাশ্যে আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডলের বক্তব্যে। তাপস জানিয়েছিলেন, নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ তাঁকে ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা জানিয়েছিলেন। এর পরই সুজয়ের উপর নজর পড়ে তদন্তকারীদের। গত ৩০ মে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।

সুজয়ের গ্রেফতারির সময় থেকেই অসুস্থ ছিলেন তাঁ স্ত্রী বাণী ভদ্র। গত মঙ্গলবার রাতে নিউ আলিপুরের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন