Justice Abhijit Gangopadhyay

মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ! মামলাকারী ‘ছাত্র’দের হুঁশিয়ার করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

যোগেশচন্দ্র চৌধুরি ল’কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র মামলা করেছিলেন হাই কোর্টে। তিনি বলেন, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের কিছু প্রাক্তন পড়ুয়া তাঁদের ভয় দেখান। মারধরের হুমকিও দেন তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪১
Share:

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে হুমকি আর দাদাগিরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। শুনানির জন্য সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। মামলাটি শোনার পর ওই ছাত্রদের একের পর এক হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে বসেই তিনি বললেন, ‘‘মস্তানি নয়! দিন কাল খুব খারাপ।’’

Advertisement

যোগেশচন্দ্র চৌধুরি ল’কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র মামলা করেছিলেন হাই কোর্টে। কলেজের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তিনি বলেন, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের কিছু প্রাক্তন পড়ুয়া তাঁদের ভয় দেখান। মারধরের হুমকিও দেন তাঁদের। এই মামলা শোনার পর কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং চারুমার্কেট থানাকে আদালত নির্দেশ দেয়, হুমকি দেওয়া ওই প্রাক্তন পড়ুয়াদের ধরে আনুন। সোমবার আদালতের নির্দেশ মতো ওই ছাত্রদের আটক করার পর কলকাতা পুলিশের চারুমার্কেট থানার কর্তা এসেছিলেন আদালতে। তাঁকেই বিচারপতি বলেন, ‘‘ওঁদের বলে দেবেন, দিনকাল খারাপ। মস্তানি যেন না করে।’’

পাশাপাশিই বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘‘অভিযুক্তদের যেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরের ত্রিসীমানায় না দেখা যায়।’’ বিচারপতি জানান পুলিশকেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর পর ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে যদি না থাকতে পারেন, তবে আমি অন্য কোথাও পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি। আপনারা কি তা-ই চান?’’

Advertisement

যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের পাঁচ প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের এক প্রাক্তন পড়ুয়া। বিচারপতি অবশ্য মামলাকারীকেও নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরে না আসার। তিনি বলেন, ‘‘আপনাকেও যেন দেখা না যায়। পুলিশ এটা নিশ্চিত করবে।’’

এই মামলায় কলেজের কাছে একটি খাবারের দোকানের উপরেও পুলিশকে নজর রাখতে বলেন বিচারপতি। জবাবে চারুমার্কেট থানার পুলিশকর্তা সম্মতি জানালে, ‘‘তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কী ভাবে রাখবেন বলুন তো?’’ পুলিশকর্তা হঠাৎ এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে উত্তর দিতে না পারলে বিচারপতি হেসে ফেলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন