কলকাতার টেক্কা যাদবপুরকে

শৃঙ্খলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যখন-তখন। কেন্দ্রীয় মূল্যায়নে সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে পড়ে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

শৃঙ্খলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যখন-তখন। কেন্দ্রীয় মূল্যায়নে সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে পড়ে গেল। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘র‌্যাঙ্কিং’ (এনআইআরএফ) ২০১৯-এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ন’ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা। ষষ্ঠ স্থানে থাকা যাদবপুরের ঠাঁইবদল হয়নি। প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে দেশের মধ্যে প্রথম কলকাতা। গত বছরের মতো এ বারেও প্রথম একশোয় নেই প্রেসিডেন্সি।

Advertisement

সোমবার দিল্লিতে এ বারের ‘র‌্যাঙ্কিং’ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সার্বিক ভাবেও কলকাতা অনেকটাই উঠে এসেছে। গত বছর ছিল ২১তম স্থানে। এ বার দ্বাদশ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কলকাতা গত বছর ছিল ১৪-য়। এ বার পঞ্চম। যাদবপুর সার্বিক ভাবে গত বছর ছিল ত্রয়োদশ স্থানে। এ বারেও তা-ই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গত বছর ছিল ষষ্ঠ স্থানে। এ বারেও তা-ই। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দু’ধাপ নেমে যাদবপুর এ বার চতুর্দশ!

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে টিম ওয়ার্কের জন্য। এখানে উন্নত মানের যে-গবেষণা হয়, তার তথ্য এক জায়গায় করার কাজটা হচ্ছিল না। সেটা করা গিয়েছে, তার সুফল পাওয়া গেল। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি খুশি। তবে পঞ্চম হওয়া তো লক্ষ্য হতে পারে না। এক নম্বর হওয়াটাই লক্ষ্য।’’ যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, রাজ্যের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম দশে থাকায় তিনি খুবই খুশি। খুশি রাজ্যের দু’টি কলেজ প্রথম দশে থাকার জন্যও। ‘‘আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছি। কলকাতার সাফল্যে আমি খুবই খুশি,’’ বলেন সুরঞ্জনবাবু।

Advertisement

গত বার প্রেসিডেন্সি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘সার্বিক’ তালিকায় ছিল ১৫১ থেকে ২০০-র মধ্যে। ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ তালিকায় ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে ছিল। এ বারেও বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে রয়েছে, কিন্তু সার্বিক তালিকায় ২০০-র মধ্যেও নেই। ফোন ও মেসেজ করা হলেও উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। প্রেসিডেন্সির কারও কারও যুক্তি, ২০ বছরের বেশি পুরনো না-হলে উপর দিকে থাকা সম্ভব হয় না।

দেশের কলেজগুলির মধ্যে প্রথম ১০০-য় রয়েছে বাংলার ছ’টি। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী কলেজ, রহড়া অষ্টম। সেন্ট জেভিয়ার্স দশম। রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, বেলুড় একাদশ। রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ পঞ্চদশ। বেথুন পঞ্চাশ। লোরেটো ছিয়াত্তর। দেশে সার্বিক ভাবে প্রথম মাদ্রাজ আইআইটি। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যেও প্রথম তারা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম আইআইএস বেঙ্গালুরু। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়। কলেজের মধ্যে শীর্ষ মিরান্ডা হাউস। আইনে প্রথম ন্যাশনাল ল স্কুল বেঙ্গালুরু। মেডিক্যালে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স। ম্যানেজমেন্টে আইআইএম বেঙ্গালুরু। স্থাপত্যবিদ্যায় আইআইটি খড়্গপুর প্রথম। ফার্মাসিতে প্রথম দিল্লির জামিয়া হামদর্দ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন