জয়াকে ফিরিয়ে আনার প্রচার

ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী সোমবারই উত্তরবঙ্গে এসেছেন। তার মধ্যেই জয়াকে তাঁর পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রচার শুরু করেছেন তাঁর অনুগামী ছাত্র নেতারা। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে জয়ার ছবি দিয়ে তাঁকে স্বপদে ফেরানোর দাবি জোরালো করার চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

জয়া দত্ত

কলেজে কলেজে ভর্তি নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক দিন। এখনও সেই পদে নতুন কাউকেই বসাননি তৃণমূল সুপ্রিমো। এই সুযোগে জয়ার অনুগামীরা সক্রিয় হয়েছেন।

Advertisement

ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী সোমবারই উত্তরবঙ্গে এসেছেন। তার মধ্যেই জয়াকে তাঁর পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রচার শুরু করেছেন তাঁর অনুগামী ছাত্র নেতারা। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে জয়ার ছবি দিয়ে তাঁকে স্বপদে ফেরানোর দাবি জোরালো করার চেষ্টা হচ্ছে। গঙ্গারামপুর কলেজের টিএমসিপি নেতা উৎপল দাস বলেন, ‘‘জয়াদি ভাল কাজ করছিলেন। তাই দিদিকেই আমরা চাই। এই কারণে অনেকেই তাঁকে আবার নিজের দায়িত্বে দেখতে চাইছে।’’ জয়ার প্রত্যাবর্তনের দাবি তুলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রায় প্রতিটি কলেজের একাংশ ছাত্রনেতারা প্রচার শুরু করেছেন। প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ছাত্রনেতারা ফেসবুককেই হাতিয়ার করেছেন। ছাত্রনেতাদের ফেসবুকের ওয়ালগুলিতে জয়ার ছবি দিয়ে তাঁকে আবার দায়িত্ব দেওয়া হোক এই আবেদন জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

টিএমসিপি নেতাদের এই দাবি ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন টিএমসিপির জেলা সভাপতি অতনু রায়। অতনু বলেন, ‘‘আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। আর কারও নয়। আমাদের নেত্রী যাকে ছাত্র পরিষদের সভাপতি করবেন আমরা তাকেই মেনে নেব। কাউকে ফিরিয়ে আনার দাবি যদি কেউ তুলে থাকে তা হলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে খোঁজ নেব।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ভর্তি নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই জয়াকে সরিয়ে দিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী। কিন্তু এত দিনেও কাউকেই সেই পদে বসানো হয়নি। তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। এবার সেই পদেই জয়াকে ফেরানোর দাবি ওঠায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, জয়াকে আচমকাই সরিয়ে দিয়ে টিএমসিপির বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগকে সামাল দিতে চেয়েছিল নেতৃত্ব। পরে ভর্তি প্রক্রিয়া মিটে গেলে আবার জয়াকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। জয়াকে ফিরিয়ে আনতে ছাত্রনেতাদের এই দাবি সেই তত্ত্বকে জোরালো করেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন