জয়েন্টের তারিখ নিয়ে বিপাকে পরীক্ষার্থীরা

শিক্ষা মহলের বক্তব্য, জয়েন্টে বহু পরীক্ষার্থীর সিট পড়ে দূরের জেলায়, এমনকী ভিন রাজ্যেও। তাঁদের পক্ষে শনিবার স্ট্যাটিস্টিক্স পরীক্ষা দিয়ে রবিবার জয়েন্ট, আবার সোমবার গণিতের পরীক্ষায় বসা কার্যত অসম্ভব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৮
Share:

অন্যান্য বারের মতো ২০১৮ সালের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষা হওয়ার কথা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এপ্রিল মাসেও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর ফলে জয়েন্ট দিতে ইচ্ছুক বহু পরীক্ষার্থী বিপাকে পড়বেন বলে শিক্ষা মহলের ধারণা।।

Advertisement

সাধারণত জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা হয় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের রবিবার। ২০১৬ সালে জয়েন্ট হয়েছে ৩ এপ্রিল। এ বছর ২ এপ্রিল। আগামী বছর প্রথম সপ্তাহে রবিবার পড়েছে ১ এপ্রিল। তার আগের ও পরের দিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, প্রতিবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় মার্চের মধ্যে। ফলে জয়েন্টে বসতে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হয় না। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ২০১৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক শুরুই হচ্ছে ২৭ মার্চ। ৩১ মার্চ স্ট্যাটিসটিক্স এবং ২ এপ্রিল গণিতের পরীক্ষা রয়েছে।

Advertisement

শিক্ষা মহলের বক্তব্য, জয়েন্টে বহু পরীক্ষার্থীর সিট পড়ে দূরের জেলায়, এমনকী ভিন রাজ্যেও। তাঁদের পক্ষে শনিবার স্ট্যাটিস্টিক্স পরীক্ষা দিয়ে রবিবার জয়েন্ট, আবার সোমবার গণিতের পরীক্ষায় বসা কার্যত অসম্ভব। যেমন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের পরীক্ষার্থীদের অনেকেই এতে সমস্যায় পড়বেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক স্বামী বেদপুরুষানন্দ। শনিবার তিনি জানান, অনেক অভিভাবকই এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। স্কুলের পড়ুয়াদের নিজেদের বাড়ির ঠিকানা অনুযায়ী জয়েন্টের পরীক্ষাকেন্দ্রের পছন্দ জানাতে হয়। অথচ নিয়মানুযায়ী উচ্চমাধ্যমিকের আসন পড়ে স্কুলের কাছাকাছি। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘বিষয়টি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে আমরা জানাব।’’

এ বিষয়ে সংসদ সভানেত্রী মহুয়া দাস এ দিন বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য স্ট্যাটিসটিক্স আর কম্পিউটার সায়েন্সের পরীক্ষার অদলবদল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্র দূরে হওয়ার বিষয়টি কেউ জানায়নি। জানালে ভেবে দেখা হবে।’’ সংসদের বক্তব্য, আগে কম্পিউটার সায়েন্সের পরীক্ষা ছিল ৩১ মার্চ। স্ট্যাটিসটিক্সের পরীক্ষা ছিল ৭ এপ্রিল। সেটার অদলবদল ঘটানো হয়েছে। সংসদের যুক্তি, স্ট্যাটিটিক্সে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। তাই খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের রুটিন পিছিয়ে যাওয়ায় এক জন পরীক্ষার্থীও কেন অসুবিধায় পড়বে, সেই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন