আয়কর কর্তার বাড়িতে কোটি টাকা, সোনা

গত নভেম্বর মাসে এক হাওয়ালা কারবারির হিসেব ঘাঁটতে গিয়ে তাপসবাবুর সন্ধান পায় সিবিআই। তথ্য মেলে, হাওয়ালার মারফতে বিপুল টাকা তিনি লন্ডন ও জার্মানিতে দুই আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়েছেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সামনের সোমবার তাঁর কলকাতায় বদলি হয়ে আসার কথা ছিল। তার আগেই তাঁর সল্টলেকের ফ্ল্যাটে হানা দিল সিবিআই। সেই ফ্ল্যাট ও আলিপুরের বাড়ি— এই দু’জায়গা থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সঙ্গে কিলো পাঁচেক সোনা।

Advertisement

প্রেসিডেন্সি কলেজের এই কৃতী প্রাক্তনী তাপস দত্ত এই মুহূর্তে রাঁচীতে আয়কর দফতরের মুখ্য কমিশনার। ছেলে বিদেশে চাকরি করেন। সম্প্রতি মেয়ের বিয়ে হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। গত নভেম্বর মাসে এক হাওয়ালা কারবারির হিসেব ঘাঁটতে গিয়ে তাপসবাবুর সন্ধান পায় সিবিআই। তথ্য মেলে, হাওয়ালার মারফতে বিপুল টাকা তিনি লন্ডন ও জার্মানিতে দুই আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়েছেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৫ সালের এই আইআরএস (ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস) অফিসার বছর দুয়েক আগে কলকাতা থেকে রাঁচী বদলি হন। অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আয়কর ফাঁকির জন্য ভুয়ো সংস্থা বানিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। কলকাতার এমন শ’দুয়েক ভুয়ো সংস্থা খুঁজে বার করে আয়কর দফতর তাদের উপরে কর চাপায়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাঁচী বদলি হওয়ার পরে ওই দু’শো ভুয়ো সংস্থার প্যান কার্ডের ঠিকানা বদলে রাঁচীতে নিয়ে গিয়ে সেগুলির কর মকুব করে দেন তাপসবাবু। বিনিময়ে বিশাল অঙ্কের ঘুষ নেন তাপসবাবু।

Advertisement

বুধবার সল্টলেকের ফ্ল্যাট ও আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জুতোর বাক্স, রান্নাঘর, শৌচালয়, খাটের তলায় টাকা পেয়েছেন পাঁচ সিবিআই অফিসার। এ দিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা নগদ ও ৫ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে তাঁর দুই বাড়ি থেকে। মিলেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিও। তবে, তাপসবাবুকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে সিবিআই জানিয়েছে। এ দিন তাপসবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএস-এরও জবাব আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement