আইকোর অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার পরিজনের মালিকানাধীন সংস্থাতে অবৈধ ভাবে সরানো হয়েছে বলে দাবি করলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সোমবার আইকোর-এর মালিক অনুকূল মাইতি ও তাঁর স্ত্রী কণিকাকে ভুবনেশ্বর আদালতে হাজির করে সিবিআই। ঝাড়খণ্ড পুলিশের হেফাজত থেকে আইকোরের দুই কর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে তারা।
তদন্তকারীদের দাবি, দক্ষিণ কলকাতা নিবাসী এক প্রভাবশালী নেতার ছেলের নামে ছ’টি এমন সংস্থার হদিস পাওয়া গিয়েছে, যেখানে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আইকোরের ২ কোটি টাকা সরানো হয়েছে। তদন্তকারীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের আমানতকারীদের কাছ থেকে যে ১২০০ কোটি টাকা আইকোর তুলেছিল, তার একটা অংশ বেশ কিছু সংস্থায় পাচার করা হয়েছে। যার মধ্যে ওই নেতার ছেলের সংস্থাও রয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, আইকোর থেকে প্রভাবশালী নেতার ছেলের সংস্থায় টাকা পাঠানো হলেও দুই সংস্থার মধ্যে কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন দেখাতে পারেননি আইকোর কর্তারা। তদন্তকারীদের অভিযোগ, আমানতকারীদের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই ওই প্রভাবশালী নেতার ছেলের নামে অতগুলি সংস্থা খোলা হয়েছিল। বিচারকের নির্দেশে ১০ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুকূল ও কণিকা। তদন্তকারীদের কথায়, ওই দুই কর্তাকে জেরা করে প্রভাবশালী নেতার ছেলের সঙ্গে ওই লেনদেনের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা হবে। প্রভাবশালীরা কোনও চাপ সৃষ্টি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন:তিস্তায় ফাঁপরে রাজ্য বিজেপি
এক প্রকাশনা সংস্থার নামেও অভিযোগ উঠেছে। আইকোরের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সংস্থায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা গিয়েছে বলে সিবিআই জানিয়েছে। সেই সংস্থার কর্তা ওই টাকা নয়ছয় করেছেন বলে এক সময়ে অভিযোগও তুলেছিলেন অনুকূল। এমনকী থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। সিবিআইয়ের এক শীর্ষকর্তার কথায়, পরে দেখা গিয়েছে সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার টাকাও ওই প্রকাশনা সংস্থায় গিয়েছে। আইকোরের দুই কর্তাকে জেরা করে ওই প্রকাশনা সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিদেরও পরে ভুবনেশ্বরে ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে
সিবিআই জানিয়েছে।