Teacher Recruitment Scam Case

কোটি কোটি টাকা তুলেছেন জীবনকৃষ্ণ, মিলেছে অনেক নথি! পাঁচ দিনের হেফাজত চাইল সিবিআই

আদালতে সিবিআই জানায়, জীবনের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তারা উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ভাল রকম যোগ রয়েছে জীবনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১১
Share:

সিবিআইকে দেখে দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। ফাইল ছবি।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আদালতে সেই মর্মে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অন্য দিকে, জীবনের আইনজীবী তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

Advertisement

আদালতে সিবিআই জানায়, জীবনের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তারা উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রীতিমতো যোগ রয়েছে জীবনের। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। এ বিষয়ে তিনি এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। অর্থাৎ, তিনি চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে অন্যদের কাছে সেই টাকা পাঠিয়ে দিতেন। এই মামলায় অন্য অভিযুক্তদের কাছেও জীবনের তোলা টাকা পৌঁছেছে, আদালতে তেমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।

সিবিআই আদালতে জানায়, জীবনের বিষয়ে আরও অনেক তদন্ত বাকি আছে। তিনি মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। ফলে আরও তথ্য উদ্ধার করতে হবে। তার জন্য সময় চাই। সেই কারণেই তৃণমূল বিধায়ককে আরও ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে বিধায়কের জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, জীবনকৃষ্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই তাঁর শত্রুর কোনও অভাব নেই। তাঁর বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই দাবি করছে, সেগুলি অন্য কেউ বাইরে থেকে এনেও ফেলে রেখে যেতে পারেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাঁর মক্কেলকে বিপদে ফেলতেই এই চক্রান্ত করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন জীবনের আইনজীবী। জীবনকৃষ্ণকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে।

গত শুক্রবার জীবনকৃষ্ণের বড়ঞার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। গোয়েন্দাদের দেখেই দু’টি মোবাইল ফোন তিনি পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আড়াই দিন ধরে পুকুরের জল ছেঁচে, পাঁক ঘেঁটে সেই মোবাইল উদ্ধার করা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মোবাইলগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাতে সম্মতি দিয়েছে। জল কাদায় পড়ে মোবাইলগুলির ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে, হার্ডঅয়্যার ঠিক আছে কি না, তা থেকে কোনও তথ্য আদৌ উদ্ধার করা যাবে কি না, ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই তা বোঝা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন