নারদ তথ্য হাতে নিল সিবিআই

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সিবিআইয়ের হাতে নারদ-কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দিয়েছিল। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার সকালে ভিডিও ফুটেজ, ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:২২
Share:

তৎপর: এসবিআই থেকে নথি সংগ্রহ করে ফেরার পর। শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সিবিআইয়ের হাতে নারদ-কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দিয়েছিল। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার সকালে ভিডিও ফুটেজ, ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করলেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের নির্দেশে সে সব স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কলকাতার প্রধান কার্যালয়ে গচ্ছিত ছিল।

Advertisement

আদালতের নির্দেশের পরে শুক্রবার রাতেই হাইকোর্টের এক রেজিস্ট্রার ওই ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়ে এসেছিলেন, ব্যাঙ্কের লকারে থাকা ভিডিও ফুটেজ ও ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট-সহ বিবিধ তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের অফিসারেরা শনিবার নিতে যাবেন। সেই মতো এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের এসপি নগেন্দ্র প্রসাদের নেতৃত্বে আট জনের একটি দল ব্যাঙ্কে পৌঁছয়। গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশে যে তিন জনের কমিটি নারদ নিউজের কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গিয়েছিলেন, নগেন্দ্র সেই কমিটিতে ছিলেন।

সিবিআইয়ের দল ব্যাঙ্কে যাওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন হাইকোর্টের এক রেজিস্ট্রার। তিনিই নগেন্দ্রকে নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে লকার খোলেন এবং ফুটেজ ও ফরেন্সিক পরীক্ষার সব রিপোর্ট বার করেন। সেগুলি নিয়ে বেলা ১২টা নাগাদ রেজিস্ট্রার এবং সিবিআইয়ের এসপি ও তাঁর সহকর্মীরা হাইকোর্টে ঢোকেন। ব্যাঙ্কের লকার থেকে যে সমস্ত সামগ্রী তদন্তের স্বার্থে সিবিআই এ দিন নিজেদের হেফাজতে নেয়, সে সব প্রথমে তালিকাভুক্ত করা হয়। সেই তালিকায় সই করেন নগেন্দ্র। পরে তা জমা রাখা হয় রেজিস্ট্রারের কাছে। এই প্রাথমিক কাজগুলো সেরে বেলা সওয়া ২টো নাগাদ হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআইয়ের দল। নারদ-কাণ্ডে যাঁদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা কোথায় বসে টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট থানার নামের একটি তালিকা তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

ম্যাথু এ দিন দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে তদন্তকারীদের এক কর্তা ফোন করেছিলেন। সিবিআই তাঁর বয়ান নিতে চায়। সিবিআই সূত্রের খবর, ম্যাথু তদন্তকারীদের বলেছেন, তিনি এখন কোচিতে রয়েছেন। তাঁর শরীর ভাল নয়। সিবিআই বলে, প্রয়োজনে তদন্তকারীরাই কোচিতে গিয়ে ম্যাথুর বয়ান নথিভুক্ত করবেন। তাতে সম্মতি দিয়েছেন নারদকর্তা।

সূত্রের খবর, স্টিং অপারেশনের ছবিগুলো যে যন্ত্রে সম্পাদনা করেছেন নারদ নিউজের কর্তা, সেটিও তদন্তের স্বার্থে তাঁদের প্রয়োজন বলে তদন্তকারীরা ম্যাথুকে জানান। নারদকর্তা তদন্তকারীদের বলেছেন, ওই যন্ত্র তাঁর কোচির বাড়িতে নেই। দিল্লির বাড়ি ও অফিসে রয়েছে। তদন্তকারীরা চাইলে এ দিনই সে সব সংগ্রহ করতে পারেন। সেই মতো দিল্লির দ্বারকায় ম্যাথুর বাড়ি এবং গ্রিনপার্কের অফিস থেকে ওই যন্ত্র এবং কিছু কাগজপত্র নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন