দলের রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল মঙ্গলবার রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ এবং রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহও ছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, ‘মহাসম্পর্ক অভিযান’-এর প্রস্তুতি বৈঠক কোন কোন সাংগঠনিক জেলায় হয়েছে, জানতে চান রামলাল। তাঁকে প্রথমে জানানো হয় বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ব্যারাকপুর-সহ সাতটি জেলা ছাড়া অন্য সব জেলায় ওই বৈঠক হয়েছে। শিবপ্রকাশ বাধা দিয়ে বলেন, এই তথ্য ঠিক নয়। আরও অনেক জেলাতেই ওই কাজ বাকি রয়েছে। এই ভাবে দলের রাজ্য নেতৃত্বের পেশ করা তথ্য কোনও কেন্দ্রীয় নেতার খারিজ করে দেওয়া বিজেপি-র অন্দরে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মিসড কল দিয়ে যাঁরা বিজেপি-র সদস্য হয়েছেন, তাঁদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়ার প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহাসম্পর্ক অভিযান’।
দলীয় সূত্রের আরও খবর, কোনও কোনও সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক এ দিন রামলালের সঙ্গে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্ব সম্পর্কে অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, ওই সব জেলায় দল সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারছে না। সোমবার লোকসভা ভোটের কিছু প্রার্থীও রামলালের সঙ্গে বৈঠকে সাংগঠনিক দুর্বলতা ও রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রামলাল বৈঠকে বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে সকলকেই সক্রিয় হতে হবে। নতুন এবং পুরনো সব সদস্যকেই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে কোনও কোনও জেলায় নেতৃত্ব বদলাতে হবে।
পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ জানান, বিধানসভা ভোট সামনে রেখেই তাঁরা দু’দিন ধরে রামলালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ঠিক হয়েছে, জুলাই জুড়ে ‘মহাসম্পর্ক অভিযান’-এর কাজ হবে। অগস্টে নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ শিবির হবে। অগস্টের মাঝামাঝি রাজ্যে চিন্তন বৈঠক হবে। দিল্লি থেকে শুরু হওয়া বিজেপির ‘নারী সম্মান যাত্রা’ আজ, বুধবার শ্যামবাজারে শেষ হবে। সেখানে মুখ্য বক্তা নিতিন গডকড়ী।