ভিডিও-য় গরমিল মদন ও শুভেন্দুর

ঠিক যে ভাবে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ভিডিও তুলেছিলেন, সে ভাবেই নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরাও ভিডিওগ্রাফি করেছিলেন। অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে শুধু মুকুল রায় ও পুলিশ অফিসার এসএমএইচ মির্জার ক্ষেত্রে অকুস্থলের ছবি এখনও তুলতে পারেনি সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৩১
Share:

মদন মিত্র ও শুভেন্দু অধিকারী।

প্রাক্তন ও বর্তমান, দুই পরিবহণমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই নারদ তদন্তে আসল ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে সিবিআই-য়ের তোলা ফুটেজ মিলল না। এই দুই মন্ত্রী— মদন মিত্র ও শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

ঠিক যে ভাবে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ভিডিও তুলেছিলেন, সে ভাবেই নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরাও ভিডিওগ্রাফি করেছিলেন। অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে শুধু মুকুল রায় ও পুলিশ অফিসার এসএমএইচ মির্জার ক্ষেত্রে অকুস্থলের ছবি এখনও তুলতে পারেনি সিবিআই। বাকি ১১ জনের ক্ষেত্রে অকুস্থলের ছবি তুলে তা পাঠানো হয়েছিল চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। ম্যাথুর তোলা ভিডিও-র সঙ্গে তাদের ভিডিও মিলছে কি না, সেটাই দেখতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

এই ১১ জনের মধ্যে এক অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন। বাকি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের ক্ষেত্রে তদন্তকারীদের তোলা ছবির সঙ্গে ম্যাথুর ছবি মিলে গেলেও মদনবাবু ও শুভেন্দুবাবুর ক্ষেত্রে মেলেনি। তদন্তকারীদের দাবি, দক্ষিণশ্বরে মদনবাবুর ফ্ল্যাটে গিয়ে ম্যাথু স্যামুয়েল টাকা দিয়েছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের দূর্গাচকে তৎকালীন সাংসদ শুভেন্দুবাবুর অফিসে গিয়ে টাকা দেন ম্যাথু। দু’জায়গাতেই টাকা দেওয়ার ছবি তোলেন ম্যাথু। সম্প্রতি ওই দুই জায়গার ভিডিও ফুটেজ তুলেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের কথায়, ওই দুই জায়গাতেই আসবাবপত্রের স্থানের হেরফের হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, সেই কারণেই হয়ত ফরেন্সিক পরীক্ষায় ম্যাথুর ফুটেজের সঙ্গে সিবিআইয়ের ভিডিও মেলেনি। ফের ওই দুই জায়গায় ভিডিও তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে ওই দু’জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে। তবে এই দুই অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ভিডিও না-মিললে তার প্রভাব মামলায় পড়বে কি না, তা নিশ্চিত করেননি তদন্তকারীরা। সম্প্রতি নারদ স্টিং কাণ্ডে পুনর্গঠিত ভিডিও ফুটেজের ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে সিবিআই।

Advertisement

সিবিআই কর্তাদের কথায়, ম্যাথু প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়ের ভবানীপুরের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। মুকুলবাবুর নির্দেশ অনুযায়ী বর্ধমানের তৎকালীন এসপি মির্জার অফিসেও গিয়েছিলেন ম্যাথু। ওই দু’জায়গায় এখনও সিবিআইয়ের তরফে ভিডিওগ্রাফি করা সম্ভব হয়নি। ভবানীপুরের ওই ভাড়ার ফ্ল্যাট মুকুলবাবু ছেড়ে দিয়েছেন। বাড়িওয়ালার অনুমতি নিয়ে সিবিআইকে ভবানীপুরের ওই ফ্ল্যাটে ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুকুলবাবু। আবার বর্ধমান থেকে বদলি হয়ে গিয়েছেন মির্জা। বর্ধমানের এসপি অফিসে ভিডিওগ্রাফির জন্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন