ফসল বিমায় কেন্দ্রের প্রশংসা

বিজেপি-র কিষাণ মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বীরেন্দ্র সিংহ মস্ত বলেন, ‘‘রাজ্য যদি প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা ঠিকমতো চালাত, তা হলে এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভোগান্তি কমত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ১০:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

অহেতুক কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজ্যবাসীকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনই অভিযোগ তুলল বিজেপি। কেন্দ্রের শাসক দলের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় অধিকাংশ চাষির বিমা করা হয়নি। ফলে রাজ্যে যখন বন্যা পরিস্থিতি তখন চাষিরা ফসল বিমার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

Advertisement

বিজেপি-র কিষাণ মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বীরেন্দ্র সিংহ মস্ত বলেন, ‘‘রাজ্য যদি প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা ঠিকমতো চালাত, তা হলে এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভোগান্তি কমত। বন্যায় ফসলের ক্ষতি হলে তাঁরা বিমা থেকে টাকা পেয়ে যেতেন। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্য সরকার কৃষকদের ওই বিমার কথা জানায়ইনি!’’

অসম এবং বিহারের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে ওই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্প্রতি ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকার খোঁজ নিতে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর ফোন আসেনি। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছিলেন, এ রাজ্য সম্পর্কে কেন্দ্রের যথেষ্ট উদ্বেগ আছে। কিন্তু এ রাজ্যের সরকার বন্যার কোনও তথ্য কেন্দ্রকে পাঠায়নি।

Advertisement

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বুধবার নবান্নে বসে আমি কেন্দ্রের চিঠি পেয়েছি। সেখানে লেখা আছে, পশ্চিমবঙ্গে ওই ফসল বিমার কাজ খুব ভাল হয়েছে। গত এক বছরে অন্য কোনও রাজ্যে তা এত ভাল হয়নি। অথচ, কেন্দ্রের শাসক দলের নেতা ঠিক বিপরীত অভিযোগ করছেন! তার মানে এ সব শুধু রাজনীতির জন্যই বলা কথা।’’ পূর্ণেন্দুবাবু আরও জানান, কৃষকপিছু প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার প্রিমিয়ামের টাকা তিন ভাগে দেওয়া হয়। একটা ভাগ দেয় কেন্দ্র, এক ভাগ দেয় রাজ্য, আর এক ভাগ সংশ্লিষ্ট কৃষক নিজে দেন। পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যেখানে কৃষকের ভাগের টাকাও রাজ্য সরকার দিয়ে দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন