নদিয়ার যুবকের বিরুদ্ধে কফেপোসা

কারও বিরুদ্ধে বারবার পাচারের অভিযোগ উঠলে কফেপোসা প্রয়োগের এক্তিয়ার রয়েছে কেন্দ্রের। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গাঁধীর সরকার সংসদে এই আইন পাশ করিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

চাষি পরিবারের ছেলে। তবে প্রায়ই দিল্লির বিমানে দেখা যাচ্ছিল ভারত বিশ্বাসকে। বারবার সোনা পাচারের অভিযোগ উঠছিল তাঁর বিরুদ্ধে। নদিয়ার বারবারিয়ার ওই বাসিন্দার বিরুদ্ধে কফেপোসা (কনজারভেশন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড প্রিভেনশন অব স্মাগলিং অ্যাক্টিভিটিজ অ্যাক্ট) প্রয়োগ করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

কারও বিরুদ্ধে বারবার পাচারের অভিযোগ উঠলে কফেপোসা প্রয়োগের এক্তিয়ার রয়েছে কেন্দ্রের। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গাঁধীর সরকার সংসদে এই আইন পাশ করিয়েছিল। ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) সূত্রের খবর, ব্যতিক্রমী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয় এবং শুনানি ছাড়া এক বছর (শর্তসাপেক্ষে) জেলে আটকে রাখা যায়। ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত সোনা পাচার করতেন তিনি। সেই টাকায় ইটভাটা তৈরি করেন। ডিআরআইয় তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। বারবার বাড়ি গিয়েও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ভারতের চোখের সমস্যা আছে। কাঁচা টাকা হাতে এসে যাওয়ায় চোখের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই বিমানে দিল্লি যাতায়াত করতেন তিনি। তাঁর গতিবিধির উপরে নজর রাখতে শুরু করে ডিআরআই। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলার পর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি।

Advertisement

ডিআরআই সূত্রের খবর, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পেরিয়ে সোনা পাচারের তিনটি ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ৩২.৬৬ কিলোগ্রাম সোনা। তার বাজারদর প্রায় ১০.১৫ কোটি টাকা। ডিআরআইয়ের দাবি, ধৃতদের জেরায় উঠে আসে ভারতের নাম। রাজনৈতিক যোগাযোগও ছিল ভারতের। ডিআরআই কয়েক বার তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু আগেই সেই খবর পৌঁছে যাওয়ায় তিনি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন