বিজ্ঞানে ফেলোশিপ কেন্দ্রের

বিজ্ঞান পড়ায়, বিশেষ করে বিজ্ঞানের গবেষণায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা একান্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যে বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রদের অনুদান দেওয়া হয় কেন্দ্রের ‘কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসহন যোজনা’ প্রকল্পে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৬ ০০:০০
Share:

বিজ্ঞান পড়ায়, বিশেষ করে বিজ্ঞানের গবেষণায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা একান্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যে বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রদের অনুদান দেওয়া হয় কেন্দ্রের ‘কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসহন যোজনা’ প্রকল্পে। শর্ত, বেসিক সায়েন্সের যে কোনও বিষয় নিয়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা।

Advertisement

ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের এই প্রকল্পটিতে বেসিক সায়েন্সের ব্যাচেলর কোর্সে পড়ার সময় মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও বছরে ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। মাস্টার ডিগ্রির সময় মাসিক অনুদান সাত হাজার ও বছরে ২৮ হাজার টাকা। এই অনুদান পাওয়ার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। ‘অ্যাপটিটিউড টেস্টে’র জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে এখন। নজরে রাখুন kvpy.iisc.ernet.in। ৬ নভেম্বর পরীক্ষা। এতে সফল হলে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

চাইলে একাদশ শ্রেণি থেকেই এই পরীক্ষাতে বসা যায়। দশম শ্রেণিতে গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগগুলিতে মোট ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর থাকতে হবে। এখন মনোনীত হয়ে গেলেও অনুদান দেওয়া শুরু হবে স্নাতক স্তরে বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে, তবেই। এছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশের উপর নম্বর থাকতে হবে। মাঝের এই এক বছরে যোজনা থেকে যে ‘সায়েন্স ক্যাম্প’ হবে তাতে যোগদান করতে পারবে ওই পড়ুয়া।

Advertisement

দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররাও একই শর্তে পরীক্ষায় বসতে পারবে এই বছর।

ইতিমধ্যে যাঁরা বেসিক সায়েন্সের কোনও বিষয়ে স্নাতক স্তর বা ইন্টিগ্রেটেড এমএসসি, এমএস কোর্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া, তাঁরাও পরীক্ষায় বসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে দ্বাদশ ক্লাসে তাঁদের যেমন ৬০ শতাংশ নম্বর দরকার, তেমন প্রথম বর্ষের পরীক্ষাতেও ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে আগামী দিনে।

শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু ফেলোশিপ নির্দিষ্ট রয়েছে। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য কিছু অতিরিক্ত ফেলোশিপের বন্দোবস্ত রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর দশম শ্রেণিতে ৮০ শতাংশের জায়গায় ৭০ শতাংশ, দ্বাদশ ক্লাস ও প্রথম বর্ষে ৬০ শতাংশের জায়গায় ৫০ শতাংশ।

একবার অনুদানের জন্য মনোনীত হলে পিএইচডি-র আগে পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ বছর ফেলোশিপ পাওয়া যাবে। তবে প্রতি বছর ফেলোশিপের পুনর্নবীকরণ করা হবে পরীক্ষায় নম্বর ৬০ শতাংশের উপর থাকলে তবেই। এছাড়া অনুদান চালু রাখতে প্রথম বর্ষে সামার ক্যাম্পে যোগদান ও প্রতি বছর সামার প্রোজেক্ট জমা দেওয়া আবশ্যিক। কোনও কারণে মনোনীত হওয়ার পরেও পড়ুয়া যদি বিজ্ঞানের বিষয়ে পড়া ছেড়ে দেন, তাহলে অনুদানও বন্ধ হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন