ব্যবসা কত সহজে, সমীক্ষায় কেন্দ্র

দাবির বাস্তবভিত্তি কতটা, তা যাচাই করে দেখবে কেন্দ্র। এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আপত্তি রয়েছে রাজ্যের। সে কথা কেন্দ্রকে জানানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

সহজে ব্যবসা করার (ইজ অব ডুইং বিজনেস) দাবি ঘিরে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক এক বার্তায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ব্যবসা করার প্রক্রিয়ার সরলীকরণে রাজ্যের দাবিকেই আর শেষ কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। বরং দাবির বাস্তবভিত্তি কতটা, তা যাচাই করে দেখবে কেন্দ্র। এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আপত্তি রয়েছে রাজ্যের। সে কথা কেন্দ্রকে জানানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Advertisement

আগের পদ্ধতিতে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’-এর নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী পদক্ষেপ করে কেন্দ্রকে জানাত রাজ্যগুলি। তার ভিত্তিতেই সাফল্যের ক্রমতালিকা তৈরি করত কেন্দ্র। এ বার কেন্দ্র জানিয়েছে, শুধু পদক্ষেপ করার তথ্য জানালেই হবে না। সেই পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে প্রকৃত অর্থে কতটা প্রতিফলিত হয়েছে, তা নিজস্ব পদ্ধতিতে সমীক্ষা করে দেখবে কেন্দ্র।

এ রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের বক্তব্য, সমীক্ষার পদ্ধতি কী, তার আওতায় কোন বিষয়গুলিকে জোর দেওয়া হবে ইত্যাদি তথ্য রাজ্যকে জানানো হয়নি। ফলে কেন্দ্রের নিজস্ব সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি ক্রমতালিকা কতটা যথাযথ হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তাঁদের মতে, ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’-এর সাফল্যের উপর বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করে। ফলে সমীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে রাজ্যকে জানানোটা কেন্দ্রের দায়িত্ব।

Advertisement

সহজে ব্যবসা করার তালিকায় অতীতে একাধিকবার নজরে পড়ার মতো জায়গা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। এমনকি প্রথম স্থান অধিকার করার দাবিও করেছিলেন অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। প্রশাসনিক ব্যাখ্যা, এখন রাজ্যে লগ্নি করা অনেকটাই সহজ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের যে আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়, তার কলেবর উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জল, অগ্নি নির্বাপণ-সহ একাধিক জরুরি পরিষেবার অনুমতি দেওয়ার সময়সীমাও কমানো হয়েছে। তা ছাড়া, ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে সহজে কর দেওয়া, বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে ‘এক জানলা’ নীতি চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটিও তৈরি করেছে রাজ্য। যার মূল কাজ, বিনিয়োগকারীদের অভাব-অভিযোগ শুনে চটজলদি প্রতিকার করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন