চাপড়ামারির পাখির ডাক শুনল বিশ্ব

এদিন সম্প্রচারের পর অনুষ্ঠানের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মনিকা গুলাটি জানান, এশিয়া তথা বিশ্বের কাছে এই সম্প্রচার চাপড়ামারি তথা ডুয়ার্সকে চেনাতে সাহায্য করবে।

Advertisement

সব্যসাচী ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ০১:৩৭
Share:

সম্প্রচার: বনবাংলোর বারান্দায় রেডিয়োর কর্মীরা।

চাপড়ামারির জঙ্গলে ভোররাতে পাখির ডাক শোনার সুযোগ সব পর্যটক পান না। রবিবার অল ইন্ডিয়া রেডিওয় পাখির ডাকে সম্প্রচারের দৌলতেই অনেকের সেই সৌভাগ্য হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই সম্প্রচার ডুয়ার্সে পাখি পর্যটনের আগ্রহ বাড়াবে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

Advertisement

এদিন সম্প্রচারের পর অনুষ্ঠানের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মনিকা গুলাটি জানান, এশিয়া তথা বিশ্বের কাছে এই সম্প্রচার চাপড়ামারি তথা ডুয়ার্সকে চেনাতে সাহায্য করবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাখি বিশেষজ্ঞ সুদীপ্ত রায় বলেন, “এই অনুষ্ঠান একটা প্রামাণ্য দলিল। ভবিষ্যতে এটা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাজে দেবে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতেও এই উদ্যোগ জরুরি।” তাঁদের মতো অনেকেরই বক্তব্য, পাখির বৈচিত্র্যের কারণে ২১টি দেশের কাছে চাপড়ামারির এই সম্প্রচার ডুয়ার্সে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। বিদেশিদের কাছে এবার শুধু পাখি দেখার আগ্রহেই চাপড়ামারি অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। এর জেরে পর্যটকদের নজর পড়বে সমগ্র ডুয়ার্সেও। বন দফতরের বন্যপ্রাণ বিভাগের উত্তর মণ্ডলের প্রধান বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ নিজেও একজন পাখি বিশেষজ্ঞ। তিনিও মনে করেন, চাপড়ামারির সম্প্রচার উত্তরের জঙ্গলের সুনাম আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেবে।

চাপড়ামারির মতো এই ধরনের ‘ডন কোরাস ডে’ উদযাপনের উদ্যোগও ডুয়ার্সের অন্য জঙ্গলে নেওয়ারও প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। সুদীপ্ত রায় জানালেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতীয় পাখিদের ডাক রেকর্ড করার আদর্শ সময়। তখন পৃথক ভাবে যাতে আবার এমন সম্প্রচার করা যায় সেব্যাপারে আকাশবাণীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাতে সদর্থক সারাও মিলেছে। গজলডোবা, রসিকবিল, ফুলবাড়ি এলাকার মতো পরিযায়ী পাখিদের বিচরণক্ষেত্র থেকেও এই সম্প্রচার করা যেতে পারে। কুলিক পক্ষিনিবাসেও তথ্য সংগ্রহের জন্য এই অনুষ্ঠান বেসরকারি ভাবে করা যেতেই পারে বলে মনে করছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

Advertisement

লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা দিব্যেন্দু দেব জানিয়েছে, দেশবিদেশের পর্যটকদেরকে গরুমারা ও চাপড়ামারি চেনাতে এই সম্প্রচার একটা নজিরবিহীন পদক্ষেপ। এই সম্প্রচারকেই আগামী মরসুমে পর্যটন প্রচারে সামনে রেখে প্রচার করা হবে।

পর্যটন-নির্ভর এক গাড়ি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গন্ডার, বাইসন, হাতি বাদ দিয়েও পাখি যে উত্তরের জঙ্গলের একটা প্রধান সম্পদ সেটাই প্রমাণ হল। এর জেরে এ বার নতুন এক ধরনের পর্যটকদের পাবে ডুয়ার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement