স্ক্রাব টাইফাসে শিশুর মৃত্যু

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, চলতি মরসুমে পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় তিনশো জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

একে স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু, তার উপর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। রবিবার সকালে ১৪ মাসের এক শিশুকন্যার মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুরে।

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে প্রত্যুষা মিশ্রের। গত বৃহস্পতিবার থেকে চিকিৎসাধীন ছিল ওই শিশুকন্যা। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাঁকড়শায়। এ দিন সকালে তার খিঁচুনি ওঠে। কিছু পরেই মারা যায় সে। তার পরে চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে মৃত শিশুর পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৪ মাসের এই শিশু স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত ছিল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘ওই ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি দেখছি।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, চলতি মরসুমে পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় তিনশো জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এক সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে জ্বরে শালবনির এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবক পতঙ্গবাহী রোগ স্ক্রাব টাইফাসেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে দিক থেকে জেলায় এটি স্ক্রাব টাইফাসে দ্বিতীয় মৃত্যু।

Advertisement

প্রত্যুষার বাবা বিশ্বজিৎ মিশ্র জানালেন, মেয়েকে যা খাওয়ানো হচ্ছিল বমি করে দিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিশ্বজিতের দাবি, ভর্তির সময় হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, তেমন কিছু অসুবিধে নেই। শুক্রবারের পরে প্রত্যুষা সুস্থও হয়ে উঠেছিল। বিশ্বজিতের অভিযোগ, ‘‘কথা থাকলেও শনিবার রাতে মেয়েকে স্যালাইন দেওয়া হয়নি। রবিবার সকালে তাকে ওভারডোজের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সে জন্যই এই মৃত্যু।’’ মেদিনীপুরের ওই বেসরকারি শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক বিবেকবিকাশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘চিকিৎসার কোনও গাফিলতি ছিল না। প্রথম থেকেই শিশুটির অবস্থা ভাল ছিল না। সে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত ছিল।’’ ওভারডোজের ইঞ্জেকশন দেওয়াও অভিযোগ মানেননি তিনি। ওই হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাচ্চাকে কখন কি ওষুধ দেওয়া হয়েছে সবই নথিভুক্ত রয়েছে।’’

রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগও দায়ের হয়নি। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘পরিবারের বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে যা করার করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন