মাধ্যমিকের প্রশ্ন পাচার, দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র-সহ সিআইডির জালে পাঁচ

পরীক্ষার হল থেকে কী ভাবে প্রশ্ন পাচার হচ্ছে তার তদন্তে নেমে সিআইডি ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার এবং দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:২৭
Share:

ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

মাধ্যমিকের প্রশ্ন পাচার কাণ্ডের তদন্ত শুরু করল সিআইডি। চলতি মাধ্যমিকে বাংলা, ইংরাজি, ইতিহাস এবং ভূগোল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নপত্র সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষার হল থেকে কী ভাবে প্রশ্ন পাচার হচ্ছে তার তদন্তে নেমে সিআইডি ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার এবং দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Advertisement

সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে দু’জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তারা হল সাহাবুল আমির এবং সাহাবাজ মণ্ডল। সাহাবুলের বাড়ি মালদহতে, সাহাবাজের বাড়ি কাটোয়ায়। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয় হুগলির পাণ্ডুয়া থেকে সাজিদুর রহমান নামে আরও এক জনকে। আটক করা হয় দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকেও। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪২৭, ৪০৬, ৫০৫-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা কেন, কী ভাবে এ কাজ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বছর প্রশ্ন ফাঁস রুখতে প্রথম থেকেই কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল আনা একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মীরাও মোবাইল নিয়ে এলে তা ভেনু ইনচার্জের কাছে জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এত কড়া নজরদারির পর চারটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নপত্র বাইরে চলে গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রশ্ন চতুর্থ দিনেও আবার বাইরে

বাংলা এবং ইংরাজি প্রশ্ন পাচার প্রকাশ্যে আসার পরই আসরে নামেন খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলেও সতর্ক করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি, যে কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন পাচার হচ্ছে, সেই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পর্ষদ নিযুক্ত ভেনু ইনচার্জ রেহাই পাবেন না, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন পার্থবাবু।

আরও পড়ুন: টোকায় ‘মদত’ প্রধান শিক্ষকের, নালিশ মাদ্রাসা শিক্ষিকার

এর পরও দেখা যায় ইতিহাস ও ভূগোলের প্রশ্ন একই ভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা দেখেন আসল প্রশ্নপত্র এবং সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্ন হুবহু একই। আরও জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই ছবি তুলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পরই বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করতেই ওই পাঁচ জনের ভূমিকা সামনে আসে।

(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন