ছাই পেলেই উড়িয়ে দেখছে সিআইডি

মুর্শিদাবাদের মধুপুরের চারকোল কারখানা যে আদতে চিনা কারবারিদের মাদক তৈরির আড়ত, বুধবার সিআইডি’র কথায় তা আরও এক ধাপ স্পষ্ট হয়েছে।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫২
Share:

মুর্শিদাবাদের মধুপুরের চারকোল কারখানা যে আদতে চিনা কারবারিদের মাদক তৈরির আড়ত, বুধবার সিআইডি’র কথায় তা আরও এক ধাপ স্পষ্ট হয়েছে।

Advertisement

দিন কয়েক আগে, কলকাতা স্টেশনে প্রায় ৪০ কোটি টাকার মাদক-সহ কয়েক জন চিনা নাগরিককে আটক করার পরে তাদের জেরা করে সিআইডি। এ দিন, মধুপুরের ওই কারখানায় দিনভর তল্লাশির পরে এক সিআইডি কর্তার বক্তব্য, ‘‘ওই কারখানায়, যেখানেই দেখেছি ছাই, উড়িয়ে দেখেছি তাই, কিছুই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়!’’ মধুপুরের ওই কারখানায় চিনা-যোগ হাতড়ে বড়সড় কোনও গোপন তথ্য উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছে সিআইডি।

এ দিন সাতসকালে বৃষ্টির মধ্যেই হরিরপাড়া-নওদা রাজ্য সড়কের ওই কারখানায় হানা দেন সিআইডি। বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করার পরে কারখানার লাগোয়া তিনটি বন্ধ ঘরের তালা ভেঙে ফেলা হয়। জানলাহীন ওই ঘরে নানা ধরনের গ্রাইন্ডার ছাড়াও মিলেছে প্যাকেট-বন্দি গুঁড়ো জিনিস।

Advertisement

সিআইডি জানতে পেরেছে, প্রতি রাতে ট্রাক বোঝাই হয়ে বস্তা-বন্দি ছাই চালান হত হলদিয়া বন্দরে। বেশ কিছু ধূসর রঙের বস্তাও মিলেছে। যার গায়ে লেখা, ‘অক্টোপাস অ্যাগ্রো বায়ো-ন্যাচারালস্ প্রাইভেট লিমিটেড’। বস্তায় চালান দেওয়া ওই ছাই যে দাহ্য, সে প্রমাণও মিলেছে। ক’মাস আগে বস্তা জাহাজে তুলতেই জাহাজের খোলে আগুন লাগে। তার পর থেকে বন্দর দিয়ে বস্তা রফতানি বন্ধ হয়। আগুন লেগেছিল মধুপুরের কারখানাতেও। দমকল-পুলিশে খবর দিতে বারণ করে কারখানার কর্তারা শ্রমিকদের নিয়েই তা চেষ্টায় নেভান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন