CID

ছয় তরুণীর সূত্রেই নারী পাচার চক্রের চাঁই জালে

সিআইডি জানিয়েছে, ধ্রুবের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। তাকে বৃহস্পতিবার নদিয়ার রানাঘাটে ধনতলার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:১২
Share:

সিআইডি জানিয়েছে, ধ্রুবের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। প্রতীকী ছবি।

সীমান্ত পেরিয়ে আসা ও-পার বাংলার তরুণীদের সে নিজের গাড়িতে তুলে ধর্মতলা, হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশনে ‘রিসিভারের’ হাতে তুলে দিত বলে অভিযোগ। পাচার হওয়ার পথে উদ্ধার করা এমনই ছয় তরুণীর কাছে পাওয়া সূত্র ধরে নারী পাচার চক্রের এক চাঁইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম ধ্রুব সাধুখাঁ। ডিসেম্বরে ‘ভাল’ কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ ফেলে ছয় বাংলাদেশি তরুণীকে পাচারের মুখে আসানসোল স্টেশন থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার হয় দুই বাংলাদেশি রোহিঙ্গা। সেই তরুণীদের কাছে পাওয়া বিভিন্ন সূত্র তো বটেই, ওই দুই বাংলাদেশি রোহিঙ্গাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যাদিও ধ্রুবকে ধরতে সাহায্য করেছে বলে গোয়েন্দারা জানান।

Advertisement

সিআইডি জানিয়েছে, ধ্রুবের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। তাকে বৃহস্পতিবার নদিয়ার রানাঘাটে ধনতলার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তকারীদের দাবি, পাচার চক্রের মাথা ধ্রুব এ দেশের নাগরিক হলেও চক্রের বাকিরা মূলত বাংলাদেশি। সীমান্ত পেরিয়ে আসা তরুণীদের হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ভুবনেশ্বর, পুণে, আমদাবাদ, মুম্বই ও দিল্লির যৌনপল্লিতে পাচার করে দেওয়া হত বলে গোয়েন্দাদের অভিযোগ।

ভবানী ভবন সূত্রের খবর, ডিসেম্বরে ধরা পড়ে নুর আহমেদ ও শেখ আবদুল্লা পুলিশকে জানিয়েছিল, চাকরি দেওয়ার নামে বাংলাদেশের ওই তরুণীদের সীমান্ত পার করিয়ে কলকাতায় নিয়ে এসে বলা হয়েছিল, হায়দরাবাদ ও দিল্লিতে চাকরি দেওয়া হবে। ওই তরুণীরা পুলিশকে জানান, সীমান্ত পেরোনোর পরে তাঁদের ধ্রুবের হাতে তুলে দিয়েছিল অন্য দুই যুবক। ধ্রুব তাঁদের হাওড়া স্টেশনে নিয়ে যায়। নুর তাঁদের নিয়ে ট্রেনে ওঠে। আবদুল্লা অপেক্ষা করছিল আসানসোলে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, বছর দুয়েক আগে সৌদি আরব থেকে এ দেশে ফিরে দু’টি গাড়ি কেনে ধ্রুব। সীমান্ত পেরিয়ে আসা তরুণীদের সেই দু’টি গাড়িতে করেই কলকাতায় আনত সে। ধ্রুব গাড়িতে থাকত না, থাকত শুধু গাড়ির চালক। ওই চালককে গত জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন