ভারতী ঘোষ।
তল্লাশির কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতী ঘোষের নাকতলা এবং মাদুরদহের ফ্ল্যাটে নোটিস পাঠানো হল। যদিও সেই নোটিসে কোথাও ভারতীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।সোমবাবের ওই নোটিসে বাড়ি দু’টির মালিককে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভবানীভবনে সিআইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এ দিকে, সোমবার রাতে সিআইডির বিরুদ্ধে নেতাজি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভারতীর স্বামী এম এ ভি রাজু।
দিন দুয়েক আগে যদিও ভারতীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছিল সিআইডি। সে দিন ডিআইজি (সিআইডি) নিশাদ পারভেজ দাবি করেছিলেন, কোনও প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বাড়িতে নয়, কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
সিআইডি নোটিস জারি করার পরেইএ দিন হোয়াট্সঅ্যাপে ভারতীর তরফে বার্তা আসে। সেখানে নাকতলা বা মাদুরদহের ফ্ল্যাট নিয়ে কোনও মন্তব্য নেই। বরং লেখা হয়েছে, কালীঘাটে ৬/১শরৎ চ্যাটার্জি অ্যাভিনিউ-এ তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে একটি নোটিস এসেছে। সেই বাড়ির মালিক ভারতী এবং তাঁর ভাই।কিন্তু, ‘জিতেশ অ্যান্ড আজমীরা অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি চার্টার্ড ফার্ম ওই বাড়ি বাড়া দেওয়া হয়েছে। নোটিস ওই ফার্মকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।ওই বার্তায় আরও বলা হয়, সিআইডি ভারতীর নামে নোটিস পাঠিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে যা দেখানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: ‘সিআইডি অফিসারেরা ফ্ল্যাটে তথ্যপ্রমাণ সাজাচ্ছে’
গত সপ্তাহে ভারতী ঘোষের নাকতলা বা মাদুরদহের ফ্ল্যাটেতল্লাশি চালায় সিআইডি। হিসেব-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে ওই তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছিল রাজ্য গোয়েন্দাপুলিশ। শুধু ভারতীই নন, ওই সময় তল্লাশি চালানো হয় ভারতীর ঘনিষ্ঠ দুই পুলিশ অফিসারের বাড়িতেও। এর পরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার। এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে থাকা ভারতী হুমকির সুরে বলেছিলেন, ‘‘ফিরে এসে এর বিরুদ্ধে আইনানুগব্যবস্থা নেব।’’