প্রাথমিকে ঢুকতে পারে পঞ্চম শ্রেণি

কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিকে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর হিসেবে ধরা হয়। এ রাজ্যে অবশ্য পঞ্চম শ্রেণিকে উচ্চ প্রাথমিক হিসেবেই গণ্য করা হয়ে আসছে। যদিও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্তরের অঙ্গ হিসেবে গণ্য করার দাবি জানাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৬
Share:

ফাইল চিত্র।

লটারির বদলে মেধার ভিত্তিতে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে রাজ্য সরকার ভাবনাচিন্তা করছে। তার মধ্যেই পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্কুলশিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করল স্কুলশিক্ষা দফতর। বুধবার বিকাশ ভবনে এক বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সব ডিআই বা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামোর বিষয়ে সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হবে। প্রাথমিক স্কুলগুলির বর্তমান পরিকাঠামোয় পঞ্চম শ্রেণি চালু করা যায় কি না, প্রথমে সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিকে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর হিসেবে ধরা হয়। এ রাজ্যে অবশ্য পঞ্চম শ্রেণিকে উচ্চ প্রাথমিক হিসেবেই গণ্য করা হয়ে আসছে। যদিও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্তরের অঙ্গ হিসেবে গণ্য করার দাবি জানাচ্ছে। এ বার সেই দিকেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা শিবিরের অধিকাংশই ১০ বছর বয়সি পড়ুয়াদের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে না-রেখে প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছেন।

রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমবেশি ১৮ লক্ষ। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পরের বছর এই সংখ্যক পড়ুয়াই পাওয়া যাবে ধরে নিয়ে রূপরেখা তৈরি করা হবে। প্রথমে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, প্রাথমিক স্কুলগুলির বর্তমান পরিকাঠামোয় পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের আদৌ স্থান সঙ্কুলান হবে কি না। তা ছাড়া ওই সব স্কুলে যে-সব শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে পড়ুয়াদের অনুপাত ঠিক রাখা জরুরি।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন, স্কুলশিক্ষা দফতরের এমন এক কর্তা বলেন, ‘‘কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা করা দরকার।’’ শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে নিয়ে এলে উচ্চ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারেন। উল্টো দিকে শিক্ষক-শিক্ষিকার ঘাটতি দেখা দিতে পারে প্রাথমিকে। ‘‘তা ছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ না-করলে আইনি জটে পুরো প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে। সে-দিকেও সরকারের লক্ষ রাখা উচিত,’’ বলেন স্বপনবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন