একশো দিনের প্রকল্প বা ছাত্রভাতার ক্ষেত্রে কেন্দ্র আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করায় এর আগেও আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার সরকারি স্কুলের মিড-ডে মিলে আধার আবশ্যিক করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিলেন তিনি।
শুক্রবারই কেন্দ্র জানিয়েছে, মিড-ডে মিল প্রকল্পের সুবিধা পেতে এ বার রাঁধুনি থেকে পড়ুয়া সবারই বাধ্যতামূলক ভাবে আধার কার্ড থাকতে হবে। প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকেই ৩০ জুনের মধ্যে আধার কার্ড করাতে হবে। নইলে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে তারা।
কেন্দ্রের এই ঘোষণার পর সর্বস্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, শহরে তো বটেই গ্রামে গঞ্জে লক্ষ লক্ষ শিশু মিড-ডে মিল থেকেই সারা দিনের একমাত্র পুষ্টিকর খাবার পায়। এমনকী সরকারি সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে, তেলঙ্গনা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে গ্রামের দিকে গরিব পরিবারের দাবি— স্কুলের ছুটির সংখ্যা কমিয়ে আনা হোক। তাতে শিশুরা অন্তত স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিলের খাবারটুকু পাবে। সন্দেহ নেই, সমাজের এই অংশের সকলের আধার কার্ড নেই। দেশের মহানগরীগুলিতে যখন আধার কার্ড পেতে বহু মানুষকে হয়রানি হতে হচ্ছে তখন গাঁ গঞ্চে সেই সমস্যা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল। এ ব্যাপারে সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
গরিব-মধ্যবিত্তের সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এ দিন কেন্দ্রের তুমুল সমালোচনা করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘এটা তো জুলুম! এখন থেকে কি ০-৫ বছরের শিশুরও আধার কার্ড লাগবে? মিড-ডে মিল ও আইসিডিএসের জন্য আধার কার্ড? অবিশ্বাস্য!’’
তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, এর মাধ্যমে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ, এমনকী শিশুদেরও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।