বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে তাঁর রাজ্য জাতীয় স্তরে নাম কুড়িয়ে নিয়েছে। গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজেও ৯৯ শতাংশ তিনি সফল। কিন্তু লো-ভোল্টেজের সমস্যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছু ছাড়ছে না। নবান্নে বসে এই অভিযোগ তিনি মাঝেমধ্যেই পান। শুক্রবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকেও লো-ভোল্টেজ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, লো-ভোল্টেজ সমস্যা আর বরদাস্ত করবেন না। যেখানে যা সাবস্টেশন তৈরি করা দরকার, তা দ্রুত করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডেকে মৃদু ভর্ৎসনাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন বৈঠকে হাওড়ার একটি শিল্পসংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, লো-ভোল্টেজের কারণে তাদের উৎপাদন অনেক সময়ই মার খায়। শুনেই মেজাজ হারান মমতা। বিদ্যুৎকর্তাদের কাছে ব্যাখ্যা চান। রাজেশ পাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁরা হাওড়ার কোথায় কোথায় সাবস্টেশন বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই ব্যাখ্যায় কর্ণপাত করতে চাননি। তাঁর সাফ কথা, যেখানে সাবস্টেশন বানানো দরকার, তা করে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘কোথায় কোথায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা রয়েছে, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, প্রয়োজনে এক জন করে নোডাল অফিসার ঠিক করতে হবে। যিনি সমস্যা খতিয়ে দেখে তা মোকাবিলার পরিকল্পনা করবেন।
তবে বিদ্যুৎ দফতরের একটি সূত্র বলছে, সাবস্টেশন তৈরির জন্য জমি পাওয়াই দুষ্কর হচ্ছে অনেক জায়গায়। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ভাঙড়। বস্তুত, ভাঙড়ের নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ফের অভিযোগ করেছেন, কিছু জায়গায় পাওয়ার গ্রিডের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কায়েমি স্বার্থের কারণে কিছু মানুষ ওই কাজে বাধা দিচ্ছে। সেই বাধা দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলেও এ দিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।