গত বছর জুনের গোড়ায় শেষবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন তিনি। উপলক্ষ, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই দিনই আন্দোলন শুরু করেন বিমল গুরুঙ্গ। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ চলেছে, অশান্ত ছিল পাহাড়। সেই সব গোলমাল চুকিয়ে এখন ফের স্বাভাবিক দার্জিলিঙের জনজীবন। আবার তাই সেখানে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে তিনি এ দিন বিধানসভায় বলেন, ‘‘দার্জিলিং এখন শান্ত। ওরা (পাহাড়ের লোকজন) আমাকে বলছিল। আমি পাহাড়কে ভালবাসি। দার্জিলিঙের মানুষ কেমন আছেন, ৬ তারিখ ওখানে দেখতে যাব।’’ সব ঠিক থাকলে ৬ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি থেকে হেলিকপ্টারে দার্জিলিং যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ওই দিনই সেখানে হিমাল-তরাই পুলিশ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। সেখানে থাকার কথা তাঁর।
পাহাড়ে টানা বন্ধের পরে জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ড গঠিত হয়েছে। বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপারা রয়েছেন তার নেতৃত্বে। তাঁরা সম্প্রতি দার্জিলিং ফেস্টিভালও করেছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ভেবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বিনয়রা। কিন্তু, কলকাতায় শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততার কারণ মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া হয়নি। বিনয়-অনীতকে শিল্প সম্মেলনে ডেকে নিয়েছিলেন তিনি।
পাহাড় এখন শান্ত ও স্বাভাবিক হলেও গুরুঙ্গ অনুগামীদের একাংশ যে তলে তলে গোলমাল পাকাতে সক্রিয়, সে খবর পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একাংশ একান্তে মানছেন। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে আসরে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন। সরকারি সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। পর দিন হেলিকপ্টারে দার্জিলিং যাবেন। পুলিশের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ৭ তারিখ ফেরার কথা তাঁর। তার পরে দু’দিন শিলিগুড়িতে থেকে ৯ তারিখে ফিরে যাবেন তিনি।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, প্রতিবার দার্জিলিঙে সড়কপথে যাওয়ার পথে দু’ধারে ভিড় হয়। গত পুরভোটের পরে পাহাড়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বেড়েছে। তাঁরাও রাস্তায় জড়ো হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিনয়-অনীতরা কিছুটা উদ্বিগ্ন হতে পারেন বলে ভাবছেন পাহাড়ের তৃণমূলের অনেকে। মোর্চা নেতাদের অস্বস্তি এড়াতে হেলিকপ্টারে যাওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন তৃণমূলের অনেকেই। সরকারি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, তেমন হলে মুখ্যমন্ত্রী সড়ক পথেও যেতে পারেন।