বিধবা, বার্ধক্য ও প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা বলে ফেলেছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু বিধানসভায় দাবিদারদের সম্পর্কে উষ্মা প্রকাশ করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে এখন এত কিছু দাবি করলে হয় না!
সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রশ্নের জবাবে বুধবার নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা প্রথমে জানান, বিধবা, বার্ধক্য ও প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের বিবেচনায় আছে। তন্ময়বাবু তখন বলেন, মন্ত্রী ওই আশ্বাস আগেও দিয়েছেন। কিন্তু ভাতা বাড়েনি। সে ক্ষেত্রে বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর আগে বিধবা, বার্ধক্য ও প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ানো হোক। শশী জানান, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ১৩ হাজার ৩৪৩ জন এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধ চা বাগানে ৪০১৬ জন ভাতা প্রাপক বেড়েছে। বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর প্রসঙ্গ এর সঙ্গে জোড়া অর্থহীন। তখনই হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি শুনে! যারা ৩৪ বছরে কারও ভাতা বাড়ায়নি, কংগ্রেসের বন্ধুরা নিশ্চয়ই একমত হবেন, যারা দেনার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গিয়েছে, আমাদের ৪০ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হচ্ছে, তারা ভাতা বৃদ্ধির কথা বলে কী করে?’’
মুখ্যমন্ত্রীর আরও কটাক্ষ, ‘‘এই চাই, ওই চাই, সেই চাই! এত বড় বড় কথা বলেন কী করে? চাইলেই হয় না, চাওয়ার জায়গা থাকতে হয়।’’ বাম জমানায় কেবল শাসক দলের কর্মীরা ওই ভাতা পেতেন বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতার অভিযোগ।