TMC Rally

বিজেপির তিরঙ্গা যাত্রার ‘পাল্টা’ কর্মসূচি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, শনি-রবিতে রাজ্য জুড়ে জাতীয়তাবাদী মিছিলে হাঁটবেন তৃণমূল নেতারা

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী প্রতিটি জেলা, শহর, ব্লক ও ওয়ার্ড কমিটিকে ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শোভাযাত্রার মূল বার্তা—দেশের প্রতি ভালবাসা, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে প্রাধান্য দেওয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৫ ১৮:৩৪
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যকে সামনে রেখে বিজেপি দেশ জুড়ে শুরু করেছে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’। মঙ্গলবার থেকে কেন্দ্রীয় শাসকদলের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যার সমাপ্তি হবে ২৩ মে। এই প্রেক্ষাপটে পাল্টা কর্মসূচির পথে হাঁটল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে জাতীয়তাবাদী মিছিল। ১৭ ও ১৮ মে বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দল ঘোষণা করেছে যে শনিবার ও রবিবার, প্রতিটি ব্লক ও শহরের ওয়ার্ডে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সমাবেশ হবে। শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং যাঁরা মাতৃভূমির জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এই উদ্যোগ। এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।”

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জেলায় জেলায় একটি লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন। যেখানে তিনি দলের প্রতিটি জেলা, শহর, ব্লক ও ওয়ার্ড কমিটিকে ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শোভাযাত্রার মূল বার্তা— দেশের প্রতি ভালবাসা, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে প্রাধান্য দেওয়া। কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান, ব্যানার, জাতীয় পতাকা, স্লোগান ও সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মাধ্যমে দেশপ্রেমের আবহ তৈরি করা হবে। এলাকায় যদি কোনও শহিদ জওয়ান পরিবার থাকে, তাদের ওই কর্মসূচিতে শামিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৬ মে শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কলকাতায় ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ হওয়ার কথা। ঠিক তার আগের দিন থেকেই পাল্টা কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চায় তৃণমূল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, বিজেপির দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের ইস্যুকে একতরফা হতে না দিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচেতন ভাবে দলীয় স্তরে একটি সর্বজনীন, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমের বার্তা তুলে ধরার কৌশল নিচ্ছেন। এই কর্মসূচির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে এই জাতীয়তাবাদী আবহে বিজেপি যাতে একক ভাবে আধিপত্য না বিস্তার করতে পারে, তা রুখতেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ। তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—এই কর্মসূচিতে কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্য জুড়ে শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে এই কর্মসূচি পালনের উপর নজর রাখছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ এক দিকে যেমন শহিদদের প্রতি সম্মানজ্ঞাপন, তেমনই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement