বৃষ্টি মাথায় এলেন মুখ্যমন্ত্রী

বৃষ্টি মাথায় করেই বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি থেকে নেমে তাঁর মুখেও সেই বৃষ্টির কথা। উপস্থিত জেলা নেতানেত্রীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিজয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘উফ্ কলকাতায় যা বৃষ্টি!’’ তারপরেই ঢুকে যান ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ভিতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৩১
Share:

স্বাগত: ঝাড়গ্রাম ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে। নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকেই বৃষ্টি— মাথায় হাত প্রশাসনিক কর্তাদের। বিকেলে এসে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগেই নতুন জেলা ঝাড়গ্রামের রাস্তার এ দিক ও দিকে জমে গিয়েছে জল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানানোর জন্য লাগানো ব্যানারগুলিও ভিজে জবজবে। ঝাড়গ্রামে স্টেডিয়ামে হবে বিজয়া সম্মিলনী, রাজ কলেজের মাঠে সরকারি জনসভা— সে সব কাজও বাকি ছিল খানিক, সোমবার সকাল পর্যন্ত। বৃষ্টিতে ব্যহত হয়েছে প্রস্তুতি। তবু জান লড়িয়ে কাজ করেছে জেলা প্রশাসন। রাজ কলেজ মাঠে বৃষ্টির মধ্যেই হয়েছে মহড়া।

Advertisement

বৃষ্টি মাথায় করেই বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি থেকে নেমে তাঁর মুখেও সেই বৃষ্টির কথা। উপস্থিত জেলা নেতানেত্রীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিজয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘উফ্ কলকাতায় যা বৃষ্টি!’’ তারপরেই ঢুকে যান ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ভিতর।

এ দিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে আসা পুলিশ কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে স্কুল ঘরে। তাই সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয় আধঘণ্টা দেরিতে।

Advertisement

এ দিন প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট বোর্ড নামে একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম শহরে তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্র হয়েছিল শহরের বাছুরডোবা এলাকায় ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। এখানে শহরের বিভিন্ন স্কুলের ৫৬ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা দিতে সাত সকালে অভিভাবকদের সঙ্গে হাজির হয়েছিল। পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল সকাল সাড়ে ৭টা। কিন্তু খুদে পরীক্ষার্থীরা গিয়ে দেখে দু’টি ক্লাস ঘরই তালা বন্ধ। বাকি দশটি ক্লাস ঘরে পুলিশ কর্মীরা মালপত্র নিয়ে ঠাই নিয়েছেন।

পুলিশ কর্মীরা জানিয়ে দেন, কর্তৃপক্ষ থাকার ব্যবস্থা করেছেন, তাঁরা পরীক্ষার জন্য ঘর ছাড়তে পারবেন না। পরীক্ষা আয়োজক সংস্থার প্রতিনিধি মধুশ্রী বেজ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে গাছ তলায় পরীক্ষা নেব বলে ঠিক করেছিলাম। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শেষ পর্যন্ত সকাল ৮ টা নাগাদ দুটো তালা বন্ধ ঘর খোলার ব্যবস্থা হয়। আধ ঘন্টা পরে পরীক্ষা শুরু হয়।’’

ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ সুচেতা বসু বলেন, ‘‘ওই সংস্থা পুজোর ছুটির আগে ক্লাস ঘর ছেয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য পুলিশ ঘরগুলি নিয়ে নেয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন