পাহাড়ের মডেলে এ বার সমতলের জনজাতি গোষ্ঠীগুলোকে কাছে টানতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে বিভিন্ন জনজাতির জন্য তিনি এক এক করে পনেরোটি বোর্ড গঠন করেছেন। এ বার একটি পৃথক কুর্মি বোর্ড গড়তে চলেছে রাজ্য। তাতে ডুয়ার্সের পাশাপাশি জঙ্গলমহলেও প্রভাব পড়তে পারে।
সোমবার জলপাইগুড়িতে আদিবাসী উপদেষ্টা কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চা বাগানে একরকম সমস্যা, জঙ্গলমহলে আরেক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সব সমাধান করছি। উন্নয়নের প্রশ্নে সব সম্প্রদায়, জাতি-জনজাতি-ভাষা-ভাষীদের সঙ্গে আমরা রয়েছি।’’
সোমবারের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়। যার মধ্যে ২৫ হাজার শব্দের সাঁওতালি থেকে বাংলা অভিধান প্রকাশ, পড়ুয়াদের বৃত্তি, মেচ সহ আদিবাসীদের অন্য ভাষার স্বীকৃতি নিয়েও আলোচনা চলছে।
সমতলের জনজাতিদের জন্য উপহারের কথা বললেও, এ দিন ডুয়ার্স-তরাইয়ের বন্ধ চা বাগান খোলা নিয়ে ফের কেন্দ্রের উপরেই দায় চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার ডুয়ার্সের ৭টি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণের নির্দেশ জারি করে। তার পরে অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কোনও বাগানই এখনও অধিগ্রহণ করে নতুন মালিকের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। এই কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। জলপাইগুড়িতে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী এসে ৭টি চা বাগান অধিগ্রহণের কথা বলেছিলেন। সেটা এখনও হয়ে ওঠেনি। আমি মনে করি কথা দিলে কথাটা রাখা উচিত। আমি তো যা বলি তাই করি।’’