ব্যবহার হোক মঞ্চ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি গিয়ে কয়েকটি স্টল ঘুরেছি। যে মঞ্চটি রয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক মানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে পারে। দেখতে বলেছি আধিকারিকদের।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি

কাওয়াখালির বিশ্ববাংলা শিল্পীহাটে সাংস্কৃতিক মঞ্চটি বছরের বেশিরভাগ সময় এমনিই পড়ে থাকে। সেখানে বছরভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে হাটে গ্রাহকদের আকর্ষণ করার কথা, কিন্তু তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সোমবার বিমানবন্দর থেকে কমিশনারেট যাওয়ার পথে হঠাৎই সেখানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে হাতে বেছে বেশ কিছু গয়না এবং ব্যাগ কেনেন তিনি। কথা বলেন শিল্পীদের সঙ্গেও। পরে মঞ্চটির দিকে নজর পড়তেই আধিকারিকদের ধমক দেন, কেন এত ভাল মঞ্চ ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে তা নিয়ে। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকেও শিল্পীহাটের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি গিয়ে কয়েকটি স্টল ঘুরেছি। যে মঞ্চটি রয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক মানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে পারে। দেখতে বলেছি আধিকারিকদের।’’ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র শিল্প দফতরের (এমএসএমই) অধীনে পশ্চিমবঙ্গ এক্সপোর্ট প্রমোশন সোসাইটির পরিচালনায় জেলা বাণিজ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে নিজেদের সামগ্রী বিক্রির সুযোগ পান হস্তশিল্পী এবং কাঠ ও বেতের কারিগররা। সোমবার সেখানে গিয়ে শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলার পরে হাটের কর্মকর্তাদের ডেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন মঞ্চটিতে সারাবছর অনুষ্ঠান হয় না?

হাট সূত্রে খবর, ডুয়ার্সের শিল্পীদের দিয়ে পুরোপুরি বাঁশের তৈরি ওই মঞ্চে টানা অনুষ্ঠান হয় কেবল শীতের সময়টুকু। বাকি সময়ও যাতে মঞ্চে অনুষ্ঠান করা যায়, তা দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি শিল্পীহাটের সব দোকানই যাতে সবসময় খোলা রাখা যায় সেই বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

তাঁর পরিদর্শনের পরেই মঙ্গলবার এমএসএমই দফতরে সচিব রাজেশ পাণ্ডে এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা হাট পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানান, জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের কর্তাদের বলা হয়েছে, মঞ্চে আরও বেশি অনুষ্ঠান করার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও সেখানে নানা অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাঁথির বস্ত্র বুটিক শিল্পী গৌতম মান্না স্টল পেয়েছেন হাটে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখানে ব্যবসা গত বছরের থেকে বেড়েছে। কিন্তু আমরা আশা করছি, মঞ্চটায় সারাবছর অনুষ্ঠান হলে, লোক সমাগম হলে আমাদের গ্রাহক আরও কিছু বাড়ে।’’

মুখ্যমন্ত্রীকে হঠাৎ কাছে পেয়ে আপ্লুত হাটের শিল্পীরা। হাটে হাতের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করেন মোট ২৮৩ জন শিল্পী এবং কারিগর। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল হাজির হয়েছিলেন দোলন দাস, ছায়া রায়দের স্টলে। সেখানে তাঁকে একটি ব্যাগ উপহার দেন মহিলারা।

দোলন বলেন, ‘‘এমনি কোনও সমস্যা আমাদের নেই। তবে যাতায়াতের ভাতাটা একটু বাড়লে ভাল হয়।’’ সেই আর্জি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি যান পায়েল মজুমদারের স্টলে। পায়েল জানান, মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন রকমের অক্সিডাইজড কানের দুল কেনেন প্রায় তিন হাজার

টাকার মতো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন