ফাইল চিত্র।
মহার্ঘভাতা বকেয়া রেখে মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করায় চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সাধারণ কর্মচারীরা তো বটেই সংগঠনের সদস্যদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে নেতাদের। এই সময় সরকারের এই ঘোষণায় সংগঠন তথা দলের ক্ষতি হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তার মধ্যে পুজোর আয়োজনে রাজ্যের ২৮ হাজার ক্লাবের জন্য ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পরে সেই সেই ক্ষোভের আঁচ টের পাচ্ছে দলেরই কর্মচারী সংগঠন। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ২৪ ঘন্টা কাটেনি। তার মধ্যেই এই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের কর্মচারী নেতারা। এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেই তৃণমূলের কর্মচারী ফেডারেশনের এক নেতা বলেন, ‘‘এই ক্ষোভ অস্বাভাবিক নয়। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তা জানাব।’’
এই ঘোষণাকে সামনে রেখে কর্মচারীদের দাবির বিষয়টিকে সামনে এনেছে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘আমরা এই বরাদ্দের বিরোধিতা করছি। সরকারি কর্মচারীদের ৫৬ সতাংশ মহার্ঘভাতা বকেয়া। এই অবস্থায় সরকারের এই ঘোষণায় রাজ্যের কোন উন্নতি হবে, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।’’ রাজ্য সরকারের ঘোষিত বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষের পরেই এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে নামার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। প্রকাশ্যে পুজোর জন্য বরাদ্দের বিরোধিতা না করলেও সংগঠনের রাজ্য কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘সকলকেই মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখতে বলছি। তিনি কর্মচারীদের স্বার্থ উপেক্ষা করবেন না।’’