জমি আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বিরোধী থেকে শাসক হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিগ্রহণের বদলে মালিকদের থেকে সরাসরি জমি কিনে নেওয়ার নীতি নিয়েছে তাঁর সরকার। কিন্তু সেটা যে খুব সহজ নয়, মঙ্গলবার আরও এক বার বুঝলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন আমডাঙা এলাকায় বন্ধ থাকা লিলি বিস্কুটের কারখানার জমির প্রসঙ্গ তোলেন বিধায়ক রফিকুর। মুখ্যমন্ত্রী ভূমি দফতরের সচিবের কাছে জানতে চান বিষয়টি। সচিব মনোজ পন্থ জানান, কেন্দ্র ২০ একরের ওই জমিটি রাজ্যকে ফিরিয়ে দিচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওটাতে আমাদের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে।’’
সেই পরিকল্পনা প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ওই এলাকায় কয়েকশো একর জমি পাওয়া যাবে কি না। উত্তরে রফিকুর আমতা আমতা করে জানান, অনেক কৃষিজমি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেকেই জমি বিক্রি করতে চান না। তা শুনে আর কথা বাড়াননি মমতা।
আরও পড়ুন: সব কাজেই লাল ফিতে, ক্ষুব্ধ মমতা
এ রাজ্যে শিল্পস্থাপনে জমি যে বড় বাধা, তা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে শিল্প মহল। তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মতো ছোট জোতের রাজ্যে বহু জমি মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে জমি কেনা সহজ নয়। এখন দেখা যাচ্ছে, শুধু শিল্প নয়, জমি পেতে হিমসিম খাচ্ছে সরকারি প্রকল্পও। ঘটনাচক্রে শিল্পের জন্য রাজ্যের জমিব্যাঙ্কে যে ১ লক্ষ একর জমি থাকার দাবি মুখ্যমন্ত্রী করেন, তা-ও কিন্তু সরাসরি জমিদাতাদের কাছ থেকে কেনা নয়।
তবে এ দিনই বৈঠকে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য জানান, সন্দেশখালির ন্যাজাটে সেতু তৈরির কাজ শেষ। কিন্তু অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমির ক্ষেত্রে ৮৪% জমিদাতার সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। বাকিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ ক্ষেত্রে জমির সমস্যা অবশ্য দ্রুত মিটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।