পাশ-ফেল ফিরবে কি, কমিটি রাজ্যের

বুধবার শিক্ষায় অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিলটি লোকসভায় পাশ করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৫:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্য চাইলেই পঞ্চম ও অষ্টমে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় স্কুল স্তরে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানো হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বিষয়ে কমিটি গড়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই।

Advertisement

দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে অবশেষে ফিরে আসতে চলেছে পাশ-ফেল প্রথা। বুধবার শিক্ষায় অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিলটি লোকসভায় পাশ করেছে কেন্দ্র। এর পরে বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হলেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা চালু করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাতে চলে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। দক্ষিণের কিছু রাজ্য পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার বিরুদ্ধে। তবে ওই বিল পাশ হলে পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে চলেছে পাশ-ফেল প্রথা। কিন্তু সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের ক্ষেত্রে পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনা হবে কি না, বিল পাশের
পরে সেই সিদ্ধান্ত নেবে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

পাশ-ফেল নিয়ে রাজ্য যে-কমিটি তৈরি করেছে, তার নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা সূত্রের খবর, কমিটিতে সোমাদেবী ছাড়াও থাকছেন রাজ্য সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার, প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা।

Advertisement

পাশ-ফেল ফেরানোর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী এর আগে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়েছেন। কোন ক্লাস থেকে ফের পাশ-ফেল চালু করা হবে, বিভিন্ন সময়ে তা নিয়ে মতানৈক্য দেখা গিয়েছে। কেন্দ্র যে-সংশোধনী এনেছে, তাতে স্পষ্টই বলা হয়েছে, পাশ-ফেল ফেরাতে হবে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এই রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক দল, শিক্ষক সংগঠন এর বিরুদ্ধে মত দিলেও এর বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পাশ-ফেল ফিরলে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের দু’মাস পরে ‘রেমিডিয়াল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা থাকবে। সেই পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে, সে বিষয়েও কমিটিকে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। যে-সব পড়ুয়া এই টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন ক্লাসে যাবে, তাদের পঠনপাঠন শুরু করতেই কিছুটা দেরি হবে। সে-ক্ষেত্রে তাদের জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করা হবে কি না, সেটাও থাকছে কমিটির বিবেচনার তালিকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন