নিয়োগে দুর্নীতি, উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মানবসম্পদ উন্নয়মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের বিরুদ্ধেও নিয়ম না মেনে নিয়োগ-সহ এক গুচ্ছ অভিযোগ উঠল।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০৪:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মানবসম্পদ উন্নয়মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের বিরুদ্ধেও নিয়ম না মেনে নিয়োগ-সহ এক গুচ্ছ অভিযোগ উঠল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশই এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিঠির প্রতিলিপি গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

Advertisement

পার্থবাবু বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা দফতরকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’’ তবে সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে স্মৃতিকুমারবাবুর দাবি, ‘‘বাজে কথা বলা হচ্ছে।’’

২০১২-র জুনে উপাচার্য হয়ে বর্ধমানে যোগ দেন স্মৃতিকুমারবাবু। অভিযোগকারীদের দাবি, শাসক দলের স্থানীয় নেতা, কর্মী সংগঠন এবং ছাত্র সংগঠনের নেতাদের খুশি রাখতে নিচুতলায় একাধিক নিয়োগ করেছেন উপাচার্য। প্রোমোশন-এর ক্ষেত্রে নিয়মাবলী মানা হয়নি। যোগ্যতা খতিয়ে দেখার বদলে তাঁর সুরে সুর মেলানো লোকজনকেই স্মৃতিকুমারবাবু একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেছেন। এই উপাচার্যের আমলে সহ-অধিকর্তার একটি পদে এমন এক জনকে বসানো হয়েছে, যাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপরে হামলার অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা বলেন, “বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে আদালতে গিয়েছিলেন কিছু চাকরিপ্রার্থী। আদালত সে মামলা খারিজ করে দিয়েছে। তা হলে বেআইনি নিয়োগের প্রশ্ন উঠছে কেন?’’

অভিযোগকারীরা অবশ্য দমছেন না। তাঁদের দাবি, স্মৃতিকুমারবাবুর আমলে গুন্ডা গোছের কর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। ‘বশ্যতা’ স্বীকার না করলে প্রতিহিংসা নেওয়ার হুমকি পেতে হয়েছে। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ের আবহ রয়েছে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের নালিশ, ‘স্বৈরাচারী শাসকের’ ভূমিকা নিয়েছেন উপাচার্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্য একটি অংশ কিন্তু বলছে, ‘‘এই উপাচার্যের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। নাক-এর মূল্যায়নে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে।’’ তাঁদের সংযোজন: ‘‘রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগে উপাচার্যের সম্মানহানির চেষ্টা চলছে।’’

খোদ উপাচার্যের মন্তব্য, “মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে কী বলি! তদন্ত হোক। তা হলেই সত্য সামনে আসবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন