নিশানায় অ্যাপোলোর হেল্পডেস্ক, হৃদরোগীকে ৭ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার নালিশ

মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগার পরেই খুলে গিয়েছে প্যান্ডোরার বাক্স। যে দিন সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় অ্যাপোলো, সেদিনই ওই হাসপাতালে তাঁর হেনস্থার কথা জানিয়ে এ বার স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবপ্রিয় মিত্র নামে এক হৃদরোগী।

Advertisement

সোমা মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০৪:২৮
Share:

মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগার পরেই খুলে গিয়েছে প্যান্ডোরার বাক্স।

Advertisement

যে দিন সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় অ্যাপোলো, সেদিনই ওই হাসপাতালে তাঁর হেনস্থার কথা জানিয়ে এ বার স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবপ্রিয় মিত্র নামে এক হৃদরোগী। তাঁর অভিযোগ হাসপাতালের ফ্রন্ট ডেস্কে থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য— চিকিৎসায় গাফিলতি বা অকারণ বিল বাড়ানোর বাইরেও কী ভাবে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে মানুষ হয়রান হন, দেবপ্রিয়বাবুর অভিযোগ তারই একটা নজির।

করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফির জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন বোসপুকুরের বাসিন্দা দেবপ্রিয়বাবু (৪৬)। অভিযোগ, সকাল ১১টা থেকে সাত ঘণ্টা তাঁকে রিসেপশনে বসিয়ে রাখা হয়। বারবার তিনি দ্রুত ভর্তির জন্য অনুরোধ জানাচ্ছিলেন, হাসপাতাল কর্মীরা হাসি-মস্করায় ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। দেবপ্রিয়বাবুর বক্তব্য, ‘‘এর পর আমি এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ফোন করি। তখন অতি দ্রুত সব ব্যবস্থা হয়ে যায়। মানুষ তো টাকা খরচ করেই চিকিৎসার জন্য আসেন। তাঁদের কি কোনও গুরুত্ব নেই?’’ অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, রোগী বা তাঁদের পরিজনের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলতে হয়, তার ন্যূনতম জ্ঞান নেই কর্মীদের।

Advertisement

এখানে শেষ নয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় অ্যাঞ্জিওগ্রাফি হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু রাতে একটি রক্ত পরীক্ষার পর জানানো হয়, সমস্যা আছে। আপাতত অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা যাবে না। সারা দিন পেরিয়ে রাতে রক্ত পরীক্ষা হল কেন? যেনতেন রোগীকে হাসপাতালে আটকে রেখে বিল বাড়ানোটাই লক্ষ্য? প্রশ্ন তাঁর।

কর্মীদের আচরণ নিয়ে যে অভিযোগ আসছে, তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষও। তাঁদের আশ্বাস, গোটা ব্যবস্থাটা ঢেলে সাজা হচ্ছে। সমস্ত স্তরেই কর্মীদের সচেতন করার প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন