Birati Building Collapse

বিরাটিকাণ্ডে প্রোমোটার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর, শুধু নির্দেশে কাজ হয় না: ববি

উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার বিরাটিতে একটি পাঁচ তলা বাড়ির অংশ শনিবার রাতে ভেঙে পড়ে। ঘটনায় পাশের বাড়ির মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতার স্বামী প্রোমোটারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩৪
Share:

কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

বিরাটিতে নির্মীয়মাণ বহুতলের অংশ মাথায় পড়ে মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মৃত মহিলার স্বামী প্রোমোটার-সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পাঁচ তলা বাড়ির অংশ শনিবার রাতে ভেঙে পড়ে। বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে ওই সময়ে ফোনে কথা বলছিলেন এক মহিলা। তাঁর নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। তিনি পাশের বাড়িতেই থাকতেন। নির্মীয়মাণ বাড়ির ইট মাথায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। এই ঘটনার পর এয়ারপোর্ট থানায় বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী সুদীপ শর্মা চৌধুরী। তাঁর অভিযোগপত্রে প্রোমোটার গৌতম দে, তাঁর সহযোগী সজু সেন, তপনভা ঘোষ এবং বহুতলের নির্মাতা অজয় রায়ের নাম রয়েছে।

অভিযোগকারীর দাবি, পুরসভার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই পাঁচ তলা বহুতলটি তৈরি করা হচ্ছিল। তার সামনের রাস্তা মাত্র ৮ ফুটের। গত রাতে নির্মীয়মাণ বাড়ির অংশ সরাসরি মহিলার মাথার উপর পড়ে। ওই সময়ে তিনি নিজের বাড়ির অংশে দাঁড়িয়েই ফোনে কথা বলছিলেন বলে অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন মহিলার স্বামী। তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে রবিবার সকালে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আমি এত দিন ভাবতাম, উপর মহল থেকে নির্দেশ দিলেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু আদতে যে তা হয় না, সেটা দেখতে পাচ্ছি। আমার দুর্ভাগ্য যে এত চেষ্টা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা আটকাতে পারছি না। আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছি। আগামী দিনে এমন নিয়ম করব, যাতে বেআইনি নির্মাণ করতে গেলে প্রোমোটারের পা কাঁপে। এখন নির্বাচনী আচরণবিধি চলছে বলে আমি এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’’

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহুয়া শীল ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে গার্ডেনরিচের ঘটনার সঙ্গে এর তুলনা করলে ভুল হবে। আমার এই পুরসভা এলাকায় কোনও বেআইনি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। নিজেদের লাভের কথা ভেবে আমরা কিছু করি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন