এ বার বিডিওর গাড়ি আটকে বিজেপিকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বাবুগ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৭টি। বাকি দু’টি তৃণমূলের। বুধবার সেখানে বোর্ড গঠনের কথা ছিল বিজেপির। সোমবার এই জেলারই জয়পুর ব্লকের ঘাঘরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে গুলি চলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। রঘুনাথপুর ১ ব্লকেরও কিছু এলাকায় বোমা, গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ দিন বাবুগ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিশাল বাহিনী নিয়ে ছিলেন জেলার দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, দুই ডিএসপি-সহ কিছু থানার ওসি। ছিল র্যাফ-ও।
বিজেপির অভিযোগ, তাদের বোর্ড গঠন ভেস্তে দিতে প্রায় ২০টি গাড়ি বোঝাই করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত অফিস ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বোর্ড গঠনের বৈঠক করতে এ দিন দুপুরে বিডিও (রঘুনাথপুর ১) অনির্বাণ মণ্ডল প্রিসাইডিং অফিসারকে নিয়ে বাবুগ্রামের দিকে রওনা দেন। পঞ্চায়েতের এক কিলোমিটার আগে তাঁরা দেখেন, রাস্তায় বসে কয়েকশো লোক। সার দিয়ে গাড়ি রাখা। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত অফিস যারা ঘিরতে গিয়েছিলেন, তারাই রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের অনেকের হাতে ছিল তৃণমূলের পতাকা। সরকারি আধিকারিকদের পথ আটকে ‘বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে দেওয়া যাবে না’ বলে স্লোগানও ওঠে।
বিডিও পরে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যেতে বাধা পেয়ে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থেকে ফিরে যাই। থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিশদে রিপোর্ট দিয়েছি।” বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘বাবুগ্রামে প্রশাসন ও তৃণমূল নাটক করে আমাদের বোর্ড গড়া আটকে দিল।’’ রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরির দাবি, ‘‘বাবুগ্রামে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই বোর্ড গঠনে আমাদের প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা জেনে ওদের লোকজনই বিডিওকে রাস্তায় আটকে দেয়।’’ প্রশাসনও বিজেপির অভিযোগ মানেনি। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়।
পুলিশ কেন বিডিওকে উদ্ধার করতে গেল না? পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া ফোন ধরেননি। অফিসে গেলে দেখাও করতে চাননি।