আবাসন দফতরের চেক জাল করার চেষ্টা

সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার জালিয়াতি আগেও ঘটেছে। তাই বলে আস্ত চেক জাল? তা-ও আবার রাজ্য সরকারের একটি দফতরের নামে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২০
Share:

সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার জালিয়াতি আগেও ঘটেছে। তাই বলে আস্ত চেক জাল? তা-ও আবার রাজ্য সরকারের একটি দফতরের নামে!

Advertisement

একের পর এক এমন ঘটনাই ঘটেছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চারটি শাখায়। একটি শাখা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, বাকিগুলি চেন্নাই, পুদুচেরি ও গুয়াহাটিতে। পুলিশ জানাচ্ছে, জালিয়াতেরা নকল চেক জমা দিয়ে রাজ্য আবাসন দফতরের প্রায় ৪৬ কোটি টাকা তুলে নিতে চেয়েছিল। ওই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুদুচেরির এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর নাম রেবতী গণেশন। দিন দুয়েক আগে তিনিই পুদুচেরির ব্যাঙ্কে নকল চেক নিয়ে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। রেবতীকে জেরা করে চক্রের বাকি জালিয়াতদের খোঁজ চলছে।

এর পর চেন্নাই। আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, শুক্রবার দুপুরে অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে খবর আসে, চেন্নাইয়ের ভেল্লাচেরিতে রাজ্য আবাসন দফতরের কমিশনার ও ফিনান্স অফিসারের সই করা একটি চেক টাকা তোলার জন্য জমা পড়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থার নামে ওই চেক কাটা হয়েছে। টাকার অঙ্ক ৮ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক দেখেই তা যাচাই করার জন্য অর্থসচিবকে ফোন করেন ব্যাঙ্ক কতৃর্পক্ষ। অর্থসচিব সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আবাসনসচিব খলিল আহমেদকে জানান। নথিপত্র পরীক্ষা করে বোঝা যায়, পুরোটাই জালিয়াতি। এর পরেই সরকারের ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির খরচ বাবদ আবাসন দফতর ব্যাঙ্কটির টালিগঞ্জ শাখায় ওই টাকা জমা রেখেছিল। তদন্ত শুরু হয়েছে। দফতরের ভিতরে ও বাইরে যে-ই জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড়া হবে না।’’ আবাসন দফতর সূত্রের খবর, একই ভাবে গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ও গুয়াহাটির পানবাজারে ৩৩ কোটি টাকা তোলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কেন বারবার আবাসন দফতরের টাকা তোলার চেষ্টা হচ্ছে, তা ভাবাচ্ছে সরকারকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement