দিলীপের হুমকির পরেই মার পুলিশকে

সদ্য বিজেপিতে আসা মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন, সরকারের ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগোর মালিক আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৫
Share:

আক্রান্ত: বিজেপির বিক্ষোভে প্রহৃত পুলিশকর্মী। শুক্রবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশকে ঠেঙানোর হুমকি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা হাতে কলমে করে দেখানোর অভিযোগ উঠল দলের যুব মোর্চার বিরুদ্ধে।

Advertisement

সদ্য বিজেপিতে আসা মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন, সরকারের ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগোর মালিক আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ই এম বাইপাসের পরমা মোড়ে এ দিন বিশ্ব বাংলার লোগো সংবলিত গ্লোব ভাঙতে গিয়েছিলেন বিজেপি-র যুব মোর্চার সমর্থকেরা। ওই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপির দাবি, পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। তাঁদের পুলিশ ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির দরজা আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রগতি ময়দান থানার অতিরিক্ত ওসি আনন্দস্বরূপ নায়েক। ধৃতদেরই কয়েক জনের লাথিতে তিনি আচমকা রাস্তায় পড়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁর হাতে-পায়ে চোট লেগেছে। এখন তিনি ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, পরমা মোড়ে ‘বিশ্ব বাংলা’র লোগো ভাঙার ডাক দিয়ে এ দিন অভিযান করে যুব বিজেপি। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই মিছিল আটকানো হয়। বেআইনি জমায়েত ঘোষণা করে গ্রেফতার করা হয় ৩৫ জন বিজেপি সমর্থককে। কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, আহত অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে মারধর-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মালদহের বৈষ্ণবনগরে বৃহস্পতিবার জনসভায় দিলীপবাবু তৃণমূল এবং পুলিশ-প্রশাসনের আঁতাঁতের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘প্রয়োজনে দিদির ছোট ছোট ভাইদের ঠেঙাব। দিদির পুলিশ বাহিনীকেও ঠেঙাব।’’ তাঁর ওই বার্তা পেয়েই কি এ দিন যুব বিজেপি-র কর্মীরা এক জন পুলিশ অফিসারকে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিলেন? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। তবে পুলিশের আচরণের ফলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ যে হেতু সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা না দিয়ে শাসক দলের সেবা করছে, তাই মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। আর যুবকদের উৎসাহ তো বেশিই থাকে!’’ দিলীপবাবুর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল মানুষকে ভয় দেখাতে পুলিশকে সকলের সামনে ধমকাচ্ছেন। আর আমরা কিছু বললেই দোষ? আমরা কেবল মার খাব, পুলিশ এবং সরকার আমাদের উপরে যা ইচ্ছা করবে, এ রকম কোনও কথা তো আমরা দিইনি!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন