বোর্ড গঠনকে ঘিরে ধুন্ধুমার

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ধুন্ধুমার ঘটে গেল জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাটে। এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলই একক ভাবে বোর্ড গঠন করতে পারত। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শাসক দলের একটি অংশ সিপিএম ও কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করছে এই অভিযোগে দ্রুত উত্তেজনা ছড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ধুন্ধুমার ঘটে গেল জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাটে। এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলই একক ভাবে বোর্ড গঠন করতে পারত। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শাসক দলের একটি অংশ সিপিএম ও কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করছে এই অভিযোগে দ্রুত উত্তেজনা ছড়ায়। প্রিসাইডিং অফিসার দীপন চক্রবর্তী এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ বাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আসে র‌্যাফও। সে সময়ে পুলিশের উপরে অনেকে চড়াও হন। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। দীপনবাবুকে বেলাকোবা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বোর্ড গঠনও আজকের মতো স্থগিত হয়ে যায়।

Advertisement

দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও নেই বলে তাঁদের দাবি। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে দলের সিদ্ধান্ত মতোই ঠিক হবে কে প্রধান হবেন।’’ তবে জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘যাঁরা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে বোর্ড করার কথা বলছেন, তাঁরা কখনওই তৃণমূল কর্মী নন।’’ তবে নতুন করে কবে বোর্ড গঠন হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তির ক্ষেত্রেও কোনও মামলা রাত পর্যন্ত দায়ের হয়নি। দীপনবাবুর প্রসঙ্গে প্রশাসনের যুক্তি, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন স্থগিত হয়ে যায়। এখানে ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই শেষ পর্যন্ত সমান সংখ্যায় দাঁড়ায়। বিডিও অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, ‘‘পরবর্তী বোর্ড গঠনের দিন পরে ঘোষণা করা হবে।’’ এই পঞ্চায়েতে ভোটের দিন খুন হয়েছিলেন এক নির্দল সমর্থক।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘জয় গণতন্ত্রে’র, স্বস্তি মমতার

সুপ্রিম কোর্টের রায় জানার পরে রাজ্যের নানা এলাকায় অবশ্য সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মীরা আবির নিয়ে রাস্তায় নামেন। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমায় এ বার সব আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। বিভিন্ন ব্লকে উৎসবে মাতেন তাঁরা। সোনামুখী শহরে পথচারীদের সবুজ রসগোল্লা খাওয়ানো হয়। পূর্ব বর্ধমানের ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩২৩৪টি আসনের মধ্যে ২১০৩টি আসনে তৃণমূল এক তরফা মনোনয়ন দাখিল করেছিল।

আরও পড়ুন: বৈধতা পেলেই কি ন্যায্য, বলছে বিরোধীরা​

আবির খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরাও। কাটোয়া মহকুমার তিন স্তরের কোনও আসনেই ভোট হয়নি। তাঁরাও আবির নিয়ে রাস্তায় নামেন। তবে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি বীরভূমেই। সেখানে কেউ পুজো দিতে ছোটেন তারাপীঠে, কেউ মাজারে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সত্যের রায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রায়। রায়কে স্যালুট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন