পঞ্চায়েত সম্মেলনের জন্য কমিটি গড়ে ভোটের প্রস্তুতি চলছে। ডিসেম্বরে কলকাতায় রাজ্য পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে রাহুল গাঁধীকে হাজির করার তোড়জোড়ও হচ্ছে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (পিসিসি) সদস্য কারা হবেন এবং তাঁদের মধ্যে কারা হবেন এআইসিসি সদস্য, সেই প্রশ্নেই কংগ্রেসে পেকেছে জটিলতা! তালিকা, পাল্টা তালিকা জমা পড়েছে হাইকম্যান্ডের কাছে।
সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে, এ রাজ্য থেকে পিসিসি-র সদস্য হতে পারেন ৫৬২ জন। প্রতি ৮ জন পিসিসি সদস্যপিছু এক জন করে এআইসিসি সদস্য— এই সূত্র মেনে সর্বভারতীয় কমিটিতে যেতে পারেন ৭১ জন। সচরাচর দিল্লি পিসিসি-র তালিকা অনুমোদন করে দেওয়ার পরে তার ভিত্তিতেই প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়। কিন্তু এ বার দিল্লি কোনও তালিকা অনুমোদন করেনি। প্রদেশ স্তরে তৈরি হওয়া প্রতিনিধিদের নিয়েই সাংগঠনিক নির্বাচন সারা হয়েছিল উত্তম মঞ্চে। কী ভাবে ওই নির্বাচন বৈধ হয়, সেই প্রশ্ন তুলে এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক সুখবন্ত সিংহ ব্রারের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছিল। ওই নির্বাচনের মঞ্চ থেকে অবশ্য প্রস্তাব পাশ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং এআইসিসি-র সদস্য বাছাইয়ের ভার হাইকম্যান্ডের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে ‘সরকারি ভাবে’ পিসিসি-র সদস্যদের একটি প্রস্তাবিত তালিকা পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। প্রত্যাশিত ভাবেই প্রদেশ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু মুখ জায়গা পেয়েছে সেই তালিকায়। যাতে ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েক জন বর্ষীয়ান নেতা। তাঁদের তরফে আবার দিল্লির কাছে পাল্টা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এক প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি। বিকল্প প্রস্তাবে সূত্র দেওয়া হয়েছে, রাজ্য থেকে সব প্রাক্তন ও বর্তমান সাংসদ এবং বিধায়ককে এআইসিসি-র সদস্য করা হোক। পুরনো কমিটির এআইসিসি-র সদস্যদের মধ্যে যাঁরা ‘সক্রিয়’, তাঁদেরও রাখা হোক। প্রদেশের এক নেতার কথায়, ‘‘যাঁদের কেউ চেনে না, দলের কাজে যাঁদের কেউ দেখেনি, তাঁদের সদস্য করা হবে কেন? দিল্লির নেতৃত্ব গোটা বিষয়টাই জানেন। দেখা যাক, তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেন!’’