—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় শিল্প নেই বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এই সরকারকে তাই বিদায় দিতে হবে— এই ডাক দিয়েই শেষ হল প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম দফার শিল্পযাত্রা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যে দিন পদযাত্রা শেষ করে ওই ডাক দিলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং প্রাক্তন এক প্রদেশ সভাপতি সে দিনই উপস্থিত থাকলেন বিজেপি-বিরোধী অন্য কর্মসূচিতে। শিল্পযাত্রায় এক দিনও দেখা গেল না তাঁদের!
চার দিনের পদযাত্রার শেষ দিনে নৈহাটি থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত মিছিল করে মনোজ চক্রবর্তী, আখরুজ্জামান, তাপস মজুমদারদের নিয়ে গাঁধীমোড়ে সভা করেন অধীরবাবু। তাঁর অভিযোগ, বছর বছর বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শিল্প নিয়ে আসা বা কারখানা খোলার ব্যাপারে আন্তরিক নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ‘‘সারদা-নারদা নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা সংসদে যত প্রতিবাদ করেন, চট শিল্পের জন্য তো সে ভাবে গলা ফাটান না! শিল্পের জন্য তৃণমূল নেত্রী যদি কোনও অনশন করতেন, আমরা কথা দিচ্ছি আমরা তাতে সমর্থন জানাতাম!’’ রাজ্যের ঋণ ও বিনিয়োগের বাস্তব তথ্য দিয়ে শ্বেতপত্রের দাবিও ফের তুলেছেন অধীরবাবু।
পদযাত্রায় দেখা না গেলেও রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর খাস তালুক হাজরা পার্কের কাছে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলের সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেস কর্মীদের ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসেরই অন্যতম নেতা তুলসী মুখোপাধ্যায়। অমিতের পদত্যাগ, তাঁর ছেলের গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন মান্নান, প্রদীপবাবুরা। কিন্তু প্রদেশ সভাপতির পদযাত্রায় তাঁদের দেখা গেল না কেন? বিরোধী দলনেতার ঘনিষ্ঠ মহলের যুক্তি, তাঁরা বিজেপি-বিরোধী কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। সেটাই তো কংগ্রেসের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ!