জয়পুর ছেড়েই দিল কংগ্রেস

প্রথম দফায় বামেদের ঘোষিত ১১৬ এবং কংগ্রেসের ঘোষিত ৭৫— দুই তালিকার মধ্যেই ছিল জয়পুর! বাম-কংগ্রেসের সমঝোতার আবহে একেবারে প্রথমে জট পেকেছিল পুরুলিয়ার এই জয়পুর কেন্দ্র নিয়েই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৬ ০২:১১
Share:

প্রথম দফায় বামেদের ঘোষিত ১১৬ এবং কংগ্রেসের ঘোষিত ৭৫— দুই তালিকার মধ্যেই ছিল জয়পুর! বাম-কংগ্রেসের সমঝোতার আবহে একেবারে প্রথমে জট পেকেছিল পুরুলিয়ার এই জয়পুর কেন্দ্র নিয়েই।

Advertisement

রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিল— এই কেন্দ্রে তারা প্রার্থী দিচ্ছে না। এমন খবরে স্বস্তিতে বাম শিবির। ফব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিশিকান্ত মেহেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা ভাল খবর। আসলে আমরা চাইছিলাম না জয়পুর কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হোক। কেননা, তাতে সুবিধে হয়ে যেত তৃণমূলের!’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ‘‘যা হয়েছে জোটের স্বার্থেই হয়েছে।’’

বস্তুত, রাজ্যে যে ক’টি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম জয়পুর। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে এই ঘোষণায় বাম শিবির কথার খেলাপের ইঙ্গিত দেখছিল। শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে বাঘমুণ্ডি আসন ছেড়ে দিতে রাজি করানোর পরেই জয়পুরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল আলিমুদ্দিন থেকে। কংগ্রেসের জন্য ছাড়া হয়েছিল পুরুলিয়া, বাঘমুণ্ডি ও বলরামপুর। এই রফা-সূত্রের কথা প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ জানতেন। তার পরেও বিধান ভবন থেকে ওই তিনটির সঙ্গে জয়পুরের নাম ঘোষিত হওয়ায় বিস্মিত হয় বাম শিবির! রফা সূত্র বের করতে একাধিকবার কথা বলেন কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতারা। ধীরে ধীরে জট কাটে। তার প্রেক্ষিতেই রবিবারের এই ঘোষণা বলে খবর।

Advertisement

এ দিকে জয়পুর কেন্দ্রে ধীরেন মাহাতোকে প্রার্থী করে প্রচারে নেমে পড়েছে বামেরা। কংগ্রেসের ঘোষণা শুনে স্বস্তির হাওয়া এই শিবিরে। তৃণমূল এ বার জয়পুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বর্ষীয়ান নেতা শক্তিপদ মাহাতোকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিপদবাবু এই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে বার তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের তরফে এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল। কংগ্রেস সে বারও এই কেন্দ্র দাবি করেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন